বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের খুনিদের বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধের সময় ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আরিফ শিক্ষার্থীদের সাথে অসুলভ আচরণ ও হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও প্রত্যাহারকরনসহ তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ব্যাপক পুলিশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সূত্রে, বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে আবরার ফাহাদের খুনিদের বিচার করা, হত্যায় জড়িত অমিত সাহাকে মামলায় এজাহারভুক্তকরন এবং ইবি থানার ওসিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে নামে ইবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিকেল ৪ টার দিকে জিয়া হল মোড় থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবকটি হল ঘুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবের পাদদেশে সমাবেশ ও মানববন্ধন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে দেয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এসময় প্রধান ফটকের বাইরে ইবি থানা ও কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। কুষ্টিয়ার এ এস পি মোস্তাফিজুর রহমানও এসময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন,”ওসির প্রত্যাহারের বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। “
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘটনার শুরু থেকে অমিত সাহার নাম শোনা গেলেও অদৃশ্য কারনে তাকে মামলার এজাহারভুক্ত করা হয়নি। তাকে অবিলম্বে এজহারভুক্ত করার দাবি জানায় তারা। বক্তারা বলেন, দেশের চলমান বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সময় সাপেক্ষ তাই বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে আবরারের খুনিদের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন,গতকাল সোমবার দুপুরে আবরারের খুনিদের বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধের সময় ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ শিক্ষার্থীদের সাথে অসুলভ আচরণ করেন এবং হুমকির স্বরে কথা বলেন।
এজন্য তাকে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানায় বক্তারা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।