আত্মহত্যা করতে বাঘের সন্ধানে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মেরি বেগম (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে।
সুন্দরবনে প্রবেশ করতে দেখে বনভিাগের লোকজন তাকে আটক করে নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চুর হাতে তুলে দিয়েছে। চেয়ারম্যান বাচ্চু মঙ্গলবার আত্মহত্যায় ব্যর্থ মেরি বেগমকে স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে হাজির করেন। চাঁদপাই রেঞ্জের অধীন আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের বনরক্ষীরা মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে।
মেরি বেগম উপজেলার জিউধরা গ্রামের খলিল শেখের স্ত্রী। তার দু’ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে খলিল শেখ বলেন, সোমবার বিকেলে এক মহিলার সাথে মেরির ঝগড়া হওয়ায় মনের কষ্টে তিনি বাড়ি থেকে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে বনবিভাগের লোকজন তাকে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নেয়ার সময় ধরে ফেলে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চুসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে মেরি বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বেঁচে থাকতে চাইনা। পরিবারে আমার কোনো সম্মান নেই। তাই বাঘের মুখে আত্মাহত্যার সিদ্ধান্ত নিই। বাঘের দেখা না পেয়ে গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করি। ঐ সময় আমাকে ধরে ফেলে। আমি আর বাড়ি ফিরে যেতে চাই না’।
এ বিষয়ে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের ওসি তামানুল কাদির বলেন, মেরি বেগম আত্মহত্যার জন্যে বনে প্রবেশ করেন। আমরা তাকে উদ্ধার করে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।