রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এবার সতর্ক করা হলো জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত শুক্রবার রাত একটার দিকে চিঠি পাঠিয়ে প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমানকে সতর্ক করে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। একই অভিযোগে এর আগে জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ও বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রংপুরে তাঁর গুপ্তপাড়ার বাড়িতে অবস্থান করে সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কেউ এখানে অবস্থান করে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে কোনো সামাজিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারবেন না। তিনি বিধি উপেক্ষা করে এসব কাজ করেছেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির ২২ ধারার পরিপন্থী।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, মসিউর রহমানের সরকারি সফরসূচিতে বলা আছে, নির্বাচনের দিন ২১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন। এটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
তবে মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, মসিউর রহমান তাঁর নিজ এলাকায় এসেছেন। দু-একটা জায়গায় সামাজিক কর্মকাণ্ডে গেছেন। কিন্তু একটি পক্ষ এটা ধরেই নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে অভিযোগ দাখিল করেছে।
নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন
বড়বাড়ী দাড়ারপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবেদ আলীর নির্বাচনী কার্যালয় শুক্রবার রাতে কে বা কারা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, বিষয়টি নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও কোতোয়ালি থানায় অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বলেন, কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন দেওয়ার পর স্থানীয় লোকজন গিয়ে তা নিভিয়ে ফেলে। তবে বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি।
অপরদিকে হামলায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদ আহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল শনিবারও এ ওয়ার্ডের পরশুরাম, হারহাটি, পয়ধর এলাকায় বিবদমান দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। মনিরুজ্জামান এখনো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার ঘটনায় করা মামলায় অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মোখলেছুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।