আমার প্রত্যাশা বর্তমান পরিষদ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি যানজট মুক্ত, পরিবেশ বান্ধব ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলবেন
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তির আলোচনায় আলহাজ্ব মজিবর রহমান
কুষ্টিয়া বিআরবি গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবর রহমান বলেছেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৪ দিনব্যাপী আয়োজন কুষ্টিয়াবাসীকে মাতিয়ে তুলেছে। আর এ আয়োজন সম্ভব হয়েছে দক্ষ ও যোগ্য পৌর পিতা আনোয়ার আলী’র কারনেই। তিনি তাঁর পৌর পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে সাড়া জাগানো এ আয়োজন করায় আমি সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, নাগরিক সেবার পাশাপাশি কুষ্টিয়া পৌরসভা কুষ্টিয়াবাসীর বিনোদনের জন্য বিভিন্ন সময় যে সকল আয়োজন করে থাকে তা দেশের অন্যান্য পৌরসভা থেকে ব্যতিক্রম। এজন্যই কুষ্টিয়া পৌরসভা আজ দেশের মধ্যে মডেল পৌরসভা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। আমি কুষ্টিয়া পৌরসভার নাগরিক হিসেবে পৌরসভার আরও সাফল্য দেখতে চাই। আমি সবসময় আপনাদের সাথে আছি এবং থাকবো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পৌর পরিষদ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি যানজটমুক্ত, পরিবেশ বান্ধব ও পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেবেন এই প্রত্যাশা রাখি। রবিবার বিকেলে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সপ্তম দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আলহাজ্ব মজিবর রহমান এসব কথা বলেন।
সভায় আলোচক হিসেবে আলোচনাকালে ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর মোঃ আব্দুল মুঈদ বলেন, মেয়র মহোদয়কে আমরা আর মেয়র বলে সম্বর্ধন করতে চাই না। কারণ তিনি হচ্ছে আমাদের মুরব্বী। একজন পিতার যে সকল গুণ থাকা প্রয়োজন তা আমাদের পৌর পিতা আনোয়ার আলীর মধ্যে রয়েছে। তাই আসুন আজ থেকে আমরা সবাই তাঁকে পৌর মেয়র নয়, পৌর পিতা হিসেবে সম্বর্ধন করি।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, দেশবরেণ্য শিল্পপতি কুষ্টিয়ার কৃতিসন্তান আলহাজ্ব মজিবর রহমানের প্রতি কুষ্টিয়া পৌরসভা কৃতজ্ঞ। কারণ তাঁর আর্থিক সহযোগিতায় কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় খুলনা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইদগাহ ও গৌরস্থান নির্মিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নাগরিক সেবার পাশাপাশি বহুমুখি কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছি। কুষ্টিয়া পৌরসভা বৃক্ষরোপনে ২০০৭ সালে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। ২০০৮ সাল হতে মানুষের মল দিয়ে সার তৈরি করায় আজ কুষ্টিয়া পৌরসভা দেশে এবং দেশের বাইরে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে আমরা বর্জ্য থেকে জালানি তৈরির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট হতে কুষ্টিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে জাতীয় পরিবেশ পদক গ্রহন করা হয়েছে। কুষ্টিয়া পৌরসভাকে আরও এগিয়ে নিতে তিনি পৌরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলর পিয়ার আলী জোমারত। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন কুষ্টিয়া পৌর নগর পরিকল্পনাবিদ রানভীর আহমেদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাবিনা ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পৌর শিল্পগোষ্টির পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এছাড়াও বিকেলে লোককথা শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা সংগীত সন্ধ্যা ও ফকির সাহাবুদ্দিন’র একক গান অনুষ্ঠিত হয় এবং রাতে নছিমন পালাগান অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি