কুষ্টিয়ার ইবি থানাধীন মধুপুর আখ সেন্টারের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে রাস্তার কাচামাল তৈরীর কাজ করছে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা। তাছাড়াও বিটুমিন এর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে বায়ু বিষাক্তকারী জুতা-সেন্ডেল ও টায়ার। তাছাড়াও মিক্সার মেশিনের নির্গত ধুলাবালি পরিশোধনের নেই কোন ব্যবস্থা। যার ফলে আমাদের বায়ু যেমন মারাত্মক ভাবে বিষাক্ত হচ্ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় বসত-বাড়ির লোকজন।
এই মারাত্মক ভোগান্তির শিকার স্থানীয় বসত বাড়ির লোকজন জানান, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে যে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যাচ্ছে তা এখন দৃশ্যমান। কিন্তু কিছু কুচক্রীরা অধিক লভ্যাংশের লোভে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকে কলঙ্কিত করছে বলে তাদের দাবি। স্থানীয়দের মতে মধুপুর গ্রামের মোঃ দাউদ আলীর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম(৪২) এই কাজ কিছুদিন ধরে করে আসছেন। তার কাকা মোঃ আমদ আলী(৬৭) এই আখ সেন্টারের দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন। আমদ আলী সরকারি চাকরি করলেও অবৈধভাবে অতিরিক্ত অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যে ভাতিজা নজরুল আলীকে আখ সেন্টারের জায়গায় এই কাজ করাতে সহযোগীতা করেন। মোঃ নজরুল ইসলাম নিজে ঠিকাদার না হলেও বিভিন্ন কন্ট্রাক্টর এর কাছ থেকে এই সরকারি কাজ নিয়ে করেন বলে স্থানীয়রা জানান। আর অল্প কিছু দিনেই নজরুল ইসলাম এই সরকারি কাজে কারচুপি করেই আংগুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতোই কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।
নজরুল ইসলাম লেখাপড়ার ক্ষেত্রে (০) হলেও অল্প কিছু দিনেই ঠিকাদারির ব্যবসা করে গড়েছেন কোটি কোটি টাকার গাড়ি-বাড়ি। তার বর্তমান সম্পদের তালিকায় আছে অর্ধ কোটি টাকার দুটি মিক্সার মেশিন, ৫-৬ টি অবৈধ ট্রলি, ১টি রাস্তা খোরা ট্রেক্টর, অর্ধ কোটি টাকার বাড়ি। চাষা বাদি জমির পরিমাণও বেড়েছে দিগুণেরও বেশি। নজরুল ইসলাম ঠিকাদারি ব্যবসা করে অল্প দিনেই এই কোটি কোটি টাকার সম্পদ কিভাবে গড়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এলাকাবাসীর।
সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজকে স্বাগত জানিয়ে তা সঠিকভাবে করার ও নজরুল ইসলামের মতো দূর্ণীতিবাজদের থেকে রক্ষা করার অনুরোধ করেন এলাকাবাসীরা। তাদের দাবী এই টায়ার ও সেন্ডেল পুরানোর ফলে বায়ু যেমন মারাত্মক ভাবে দূষিত হচ্ছে তেমনি আমাদের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে এবং মিক্সার মেশিনের নির্গত ধুলাবালির ফলে আমাদের বাড়ি ঘরে থাকাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই জালানি হিসেবে টায়ার ও সেন্ডেল না পুরিয়ে ও মিক্সার মেশিনের নির্গত ধুলাবালি পরিশোধনের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন।