অবশেষে মৃত্যু কাছে হার মানলো কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের স্ক্যাইনু কক্ষে চিকিৎসাধীন শিশু সিন। ডাক্তার নার্স বিহীন অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে এবং অপরিচ্ছন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সির্জারিয়ানের পর নাভিতে ইনফেকশনে আক্রান্ত হয় শিশু সিন। অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ায় ডাক্তার নার্স বিহীন অনেক ক্লিনিক রয়েছে। যেখানে নেই কোন নিয়মের বালাই। ওই ক্লিনিকে সেবার নামে রোগীদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা চলছেও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা থাকেন ঘুমিয়ে!
কিন্তু ওই সব ক্লিনিকের নামের মৃত্যুপুরী বন্ধ হবে কবে? এইসব ক্লিনিক মালিকেরা দম্ভক্তি দেখিয়ে বলে সব ম্যানেজ করেই চলতে হয় আমাদের। এই ম্যানেজের বলি হলেন অবশেষে ১ মাস ৯ দিন বয়সের শিশু সিন।
জানাযায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা গোবরা চাঁদপুর এলাকার রাসেলের স্ত্রী সাবিনার প্রসব বেদনা উঠলে গত ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিণারায়ণপুর সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করে। পরে ঐদিন রাতেই ৭হাজার টাকার বিনিময়ে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সার্জারী বিভাগের জুনিয়ার কনসালটেন্ট ডা: মোহাম্মদ আলী সিজারিয়ান অপারেশন করেন। পরবর্তীতে সেই শিশুর নাভিতে ইনফেকশন হলে আবার সেই ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
গত ১৬ই জানুয়ারী থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে শিশু সিন স্ক্যানু কক্ষে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিল। ১৮ জানুয়ারী শিশু সিনকে হাসপাতাল কর্তব্যরত চিকিৎসক রিলিজ করে দেয়। পরে শিশু সিন এর অবস্থা খারাপ হলে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় শিশু সিন সকল বাধন ছিড়ে চলে গেল না ফেরার দেশে। এব্যাপারে আক্ষেপ করে নিহত শিশুটির নানা মেহেদি হাসান ফোনে জানান, ওইদিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিণারায়ণপুর সেবা প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক জহির ইকবাল লেবুর কথা মতো হাসপাতালের ডাঃ তাপস কুমার সরকারের যোগসাজশে সিন কে রিলিজ করে দেয়।
এই সব ক্লিনিক মালিকদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা কি নেবে না প্রশাসন? তিনি আরো জানান, আমরা জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ জানাবো।
কুষ্টিয়া জেলা সাভিল সার্জন ডা: রওশন আরা’র মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্তা নেয়া হবে।