চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫৩০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ট্রাকের চালক জুবায়ের হোসেন (৩০) ও সহকারি ডালিম হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জীবননগর থানায় প্রেসব্রিফিং-এ জেলার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। এসময় একটি টাটা ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৩৭৭৬) ও ট্রাকে রক্ষিত ২৩৫ বস্তা পোল্ট্রিফিড জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আনোয়ারপুরের আব্দুল মালেকের ছেলে ট্রাক চালক জুবায়ের হোসেন ও সহকারি একই এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে ডালিম হোসেন।
প্রেসবিফিং-এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( মো. কলিমুল্রাহ (সদর), সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল ও জীবননগর থানার পলিশ পরিদর্শক (তদন্দ) আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ শুক্রবার ভোররাতে জীবননগর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানে বের হয়। এসময় জীবননগর পৌর এলাকার লক্ষীপুর ব্রীজের কাছে পল্লীবিদ্যুত অফিসের সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়। দর্শনা থেকে ফিড বোঝাই একটি ট্রাক ফেন্সিডিল নিয়ে জীবননগরের দিকে প্রবেশের মুখে সন্দেভাজন ট্রাকটি পুলিশ থামানোর চেষ্টা করলে ট্রাকের চালক ও সহকারি পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ এসময় চালক ও সহকারিকে আটক করে। আটককৃত চালক ও সহকারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফেন্সিডিলের উৎস ও চালানের গন্তব্যের ব্যাপারে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে। এব্যাপারে জীবননগর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের১৯৭৪ সালের ২৫ বি (২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক মো. নুরুন্নবী।
জেলার পলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান প্রেসব্রিফিং-এ বলেন, গত ১৭ মে থেকে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হলে এপর্যন্ত পুলিশ জেলায় মাদক বিষয়ে ৩০৩টি মামলা, ৩২৮ জন আসামীকে গ্রেপ্তার এবং ১৭ লাখ টাকার মাদক জব্দ করেছে। এঘটনায় ১ জনের নাম জানা গেলেও এই মুহুূর্তে নাম বলতে পারছিনা। জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলা সীমান্তবর্তী উপজেলা। অনেক আগে থেকেই পৈত্রিক ব্যবসা করে থাকে এলাকাবাসী। এক্ষেত্রে আমরা যতœশীল ছিলোম না। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছে মাদকের সাথে জড়িত। কিন্ত, তাদের নামে মামলা নেই। পর্দার আড়ালে থাকলেও আইনের আওতায় আনা সম্ভব। যারা মদদদাতা রয়েছে তাদের কাউকেও ছাড় দেয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছি। বিগত ১১ মাসে ৩০ জন মাদক ব্যবসায়ী এসেছে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ভালো হতে চাই। থানার অফিসারদের বলা হয়েছে কেউ যদি ভালো হতে চাই, তাদের সুযোগ দিতে হবে। সমাজের সকলের সহযোগিতা থাকলে মাদকমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব ।