তিন বছর অতিবাহিত হলেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের। ৩ বছর আগে আজকের এই দিনে নিখোঁজ হন তিনি।
২০১৫ সালের ২০ আগষ্ট ভোর রাতে সাদা পোষাকে র্যাব সদস্য পরিচয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ড্রিম স্কয়ার রিসোর্ট থেকে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু শুরু থেকেই র্যাব-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সবুজকে আটক বা গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। তিন বছর অতিবাহিত হলেও আজও সন্ধান মেলেনি শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের। পেরিয়ে গেছে তিন বছর।
কোথায় সবুজ ?
সে কি জীবিত না-কি মৃত কিছুতেই খুলছে না এ রহস্যের জট। আজও সবুজের প্রতিক্ষায় দিন কাটছে তার স্বজনদের। পুত্র শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার বৃদ্ধ পিতা-মাতা। স্বামীর সন্ধান না পেয়ে স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া পাগলপ্রায়। দুই ছেলে-মেয়ে শেখ সাহেদ হোসেন প্রেম ও শেখ সুমাইয়া ফেরদৌস অপ্সরী আজও অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন তাদের বাবা ফিরে আসবে। কিন্তু প্রতিক্ষার প্রহর শেষ হয়না নিখোঁজ সবুজের স্বজনদের।
সবুজের স্ত্রী জিনিয়া জানান, তারা সম্ভাব্য সব জায়গায় সবুজকে ফিরে পেতে ধর্ণা দিয়েছেন, খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু কেউই তার সন্ধান দিতে পারছে না। এদিকে মেয়ে শেখ সুমাইয়া ফেরদৌস অপ্সরীর ২৪ শে আগষ্ট জন্মদিন। এই জন্মদিন আব্বুর সাথে উদযাপন করতে চাই ৭ বছর বয়সী শেখ সুমাইয়া ফেরদৌস অপ্সরী।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫ আগষ্টের শোক দিবসের কর্মসূচী চলাকালে শহরের মজমপুরস্থ ম্যুরাল চত্বরে শহর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোমিজের সমর্থক শহরতলীর ঢাকা ঝালুপাড়ার সবুজ নামে এক যুবক নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় শেখ সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে প্রধান আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামি হওয়ায় আত্মগোপনে চলে যান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজ। সেই থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। কেউ তার সন্ধান দিতে পারছেন না।