অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ৩২৮ বিমান জন যাত্রী। উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোর দুটি বিমান খুব কাছাকাছি চলে আসায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, কিন্ত দুই চালকের তৎপরতায় তেমন কিছু ঘটেনি।
দুটি বিমানের গতিপথ ছিল এরকম, একটি যাচ্ছিল কোয়েম্বাটুর থেকে হায়দরাবাদ অন্যটি বেঙ্গালুরু থেকে কোচিন। কাছাকাছি চলে আসায় দুই চালকের কাছেই পৌঁছে যায় বিপদ সঙ্কেত। তখনই তাঁরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দূরত্ব বাড়িয়ে নেন। আর প্রাণে রক্ষা পান ভেতরে থাকা যাত্রী ও বিমান কর্মীরা। একটি সূত্র বলছে প্রথমে এই দুটি বিমানের মাঝের দূরত্ব আট কিলোমিটারেরও নিচে নেমে আসে। তখনই সঙ্কেত পান দুই পাইলট। এই ঘটনাটা যখন ঘটছে হায়দরাবাদগামী বিমান মাটি থেকে ৩৬,০০০ ফুট উপরে ছিল আর অন্যটি ছিল ২৭,৫০০ ফুট উচ্চতায়।
উড়ান সংস্থার তরফে এর ব্যাপারে কয়েকটি তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে বিমানের মধ্যে থাকা টিসিএসএ কাজ করেছে আর তাই এড়ানো গিয়েছে দুর্ঘটনা। সংস্থা আরও বলেছে খবর পেয়েই ডিজিসিএ -কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্ত দুটি বিমানের আদত সেসময় কতটা ছিল তা অবশ্য বলেনি ইন্ডিগো। এদিকে এদিনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট বোর্ড বা এএআইবি।
মাঝ আকাশে মুখোমুখি চলে আসা দুটি বিমানের মধ্যে দুর্ঘটনা এড়াতে এই টিসিএসএ-কে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে আকাশে থাকা কোনও বিমান অন্য কোনও বিমানের কাছে চলে যাচ্ছে কি না বা সেটি আসছে কি না তা জানা যায়। এই ব্যবস্থার ফলে স্পষ্ট যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর চালককে উপর বা নিচের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সেভাবে চললে সমস্যা এড়ানো যায়। এদিনও সেভাবেই দুর্ঘটনা এড়িয়েছেন দুই চালক।