১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর যারা বিভিন্ন বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে থেকে এক হাজার ১৮১ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করেছে করেছে সরকার।
এই ব্যক্তিদের সন্তান বা নাতি, নাতনীরা যদি তাদের মুক্তিযুদ্ধ সনদ বা গেজেট ব্যবহার করে কোনো চাকরিতে কর্মরত থাকেন তবে তাদের সেই চাকরিও বহাল থাকবে না।
অন্যদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বিভিন্ন সময়ে নেওয়া এই সনদ ব্যবহার করে যারা ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন তা ফেরত দিতে হবে। এদের অধিকাংশই এখন চাকরি জীবন শেষ করে অবসরে গেছেন।
আজ রোববার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। এর আগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর ৬৬তম সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ও বিমান বাহিনীর সৈনিক ও কর্মকর্তা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭১ সালের পর যারা চাকরিতে ঢুকে সনদ নিয়েছে তাদের গেজেট নিয়ে প্রশ্ন আছে। তারা কীভাবে তখন সনদ পেলো, গেজেটে নাম উঠলো তা নিতে প্রশ্ন উঠেছে। এখন তাদের নেওয়া রাষ্ট্রের টাকা ফেরত দিতে হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ( জামুকা) গত বছেরর ১০ ডিসেম্বরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের সনদ বাতিল করা হয়েছে। যাদের সনদ বাতিল হয়েছে তার মধ্যে বিমান বাহিনীর ৪৭ জন এবং বিজিবির ১ হাজার ১৩৪ জন সদস্য রয়েছেন।
Discussion about this post