হুইল চেয়ারের অভাবে মায়ের কোলে চড়ে ১ মাইল দূরে স্কুলে যায় প্রতিবন্ধী কুষ্টিয়ার আরবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কয়েকটি নিউজ গণমাধ্যমে এমন পোষ্ট দৃষ্টিগোচর হয়েছে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের।
সোমবার সকালে পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত সেই আরবি খাতুন ও তার পারিবারকে ডেকে নতুন একটি হুইল চেয়ার কিনে দেন।
এসময় মহানুভবতার এই এসপির এমন কর্মকান্ডে আনন্দে অঝোরে কেঁদে ফেলেন আরবি ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আরবির মা বলেন, অনেক দিনে আশা পুর্ন হলো। এখন এই হুইল চেয়ারে করেই আমার মেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়া করবো।
তারা বাবা দিনমজুর রাজু বলেন, কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে সংসার চালায়। তার উপর এতটাকা দিয়ে হু্ইল চেয়ার কেনার সামথ্য আমার ছিলো না। আজকে এসপি স্যার ডেকে আমার মেয়েকে হুইল চেয়ার দিলেন এজন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, একটুই সহযোগীতা করলে যদি অন্যের একটু উপকারে আসে। আমি সেই বিবেচনা করেই অসহায় মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছি। তার একটা হুইল চেয়ার প্রয়োজন ছিলো। আমি সেটি তাকে দিতে পেরে আমার কাছেও ভালো লাগছে। আমি চাই এরকম অসহায়দের পাশে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসুক।
প্রসঙ্গত, আরবি খাতুনের বয়স ৬ বছর। কিন্তু ওর বয়সীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া আসে করে কিন্তু তাদের দেখাদেখি করেও সে নিজেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার মনস্থির করে। কিন্তু বাধ সাধে পরিবার। কারন আরবি খাতুন তো পায়ে ঠিকমতো হাটতে পারে না। তবুও তার ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তার মা হাসি খাতুন তাকে কোলে নিয়ে প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করেন।
বছর দুয়েক আগে পোড়াদহ-ভেড়ামারা আঞ্চলিক সড়কের ছোট বাস চাকায় পিষ্ট হয়ে আরবি খাতুনের একটি পা গুড়িয়ে যায়।