নিরাপত্তা ও নাশকতা রোধে শহরের বিভিন্ন স্পটে সম্প্রতি স্থাপিত সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কার্যকরিতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরও আল্লারদর্গা বাজারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সামনে চুরি-ছিনতাই ও অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
শহরে ঘটে যাওয়া একাধিক নাশকতা ও অপরাধমূলক ঘটনা সিসি ক্যামেরার সামনে ঘটলেও মূল অপরাধিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরায় অপরাধ সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়লেও ক্যামেরার দুর্বলতার কারণে অপরাধিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। সিসি ক্যামেরা আছে জেনে শুনেও অপরাধিরা অপরাধ করে যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে কোন লোক বসা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধি শনাক্ত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
জানা যায়, ৩ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারের মসজিদ গলির ভিতর থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয় মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন নম্বর কুষ্টিয়া হ ১১-৬২৫৫। বাজারের স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার মাত্র কয়েক ফুট দূর থেকে ওই দিন মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। মোটরসাইকেলটি চুরির পুরো বিষয়টি আল্লারদর্গা কমিটির কার্যালয়ের সিসি
ক্যামেরায় ধরা পড়ে। মোটরসাইকেল চুরি করার ঘটনায় পুরো ভিডিওটি অনেকের ফেইসবুক পেইজে আপলোড করা হলে বিষয়টি নিয়ে বেশ সাড়া পড়ে।
কিন্তু সিসি ক্যামেরায় চুরির ঘটনা রেকর্ড হলেও অস্পষ্ট হওয়ায় চোরকে কোনভাবে চেনা সম্ভব হয়নি। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাটি ভিডিওতে ধরা পড়া ও ফেইসবুকে প্রচারের ফলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও এর কার্যকরিতা নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার পর সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণসহ নিয়মিত তদারিক না করার ফলে অনেক সিসি ক্যামেরায় কোন কিছুই রেকর্ড হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।