সাতক্ষীরার কলারোয়া সদরের মির্জাপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট ইয়ার আলীর (৭৫) লাশ নিয়ে দুই স্ত্রীর মধ্যে এ টানাটানি। সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। এই কারণে গত দুদিনেও লাশ দাফন করা যায়নি।
স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো সুরাহা করতে না পেরে ফিরে আসতে বাধ্য হন। অবশেষে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আদালতে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দুপুরে আদালতের বিচারক কলারোয়া থানা পুলিশকে ইয়ার আলীর লাশ দাফনের জন্য নির্দেশ দেন। এরপর বিকেলে কলারোয়া থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে লাশ দাফনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইয়ার আলী মারা যাওয়ার পর বড় স্ত্রী জোহরা বেগম ও ছোট স্ত্রী সাহিদা বেগমের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
বড় স্ত্রীর অভিযোগ, ছোট স্ত্রীকে তার স্বামী সম্পত্তি বেশি দিয়েছেন। ছোট স্ত্রী ব্যাংক থেকে নগদ এক কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন কিছুদিন আগে। এছাড়া ৭০ বিঘা সম্পত্তির অধিকাংশ জমি তার ছোট স্ত্রীকে লিখে দিয়েছেন ইয়ার আলী। এসব ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বড় স্ত্রী তার স্বামীর লাশ দাফন করতে বাধা দেন। বড় স্ত্রীর চার মেয়ে দুই ছেলে ও ছোট স্ত্রীর এক ছেলে এক মেয়ে।
কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অ্যাডভোকেট ইয়ার আলীর লাশ দাফনে বাধা দেন তার বড় স্ত্রী। লাশটি তাদের দ্বন্দ্বের কারণে দুদিনে পচে গেছে। সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ বাড়িতে এসেও তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হন। স্থানীয়রাও বিরোধ নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ হন।
পরবর্তীতে সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এসব ঘটনা উল্লেখ করে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লাশটি দাফনের জন্য আবেদন করেন। আদালতের বিচারক লাশ দাফনের জন্য কলারোয়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর লাশ দাফনের প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ।