আজ ১৭ মে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় যখন শেখ হাসিনাকে বহনকারী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে, তার আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষায় ছিল প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। সেদিন রাজধানী ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে।
বিমানবন্দরে লাখো মানুষের হূদয়ছোঁয়া ভালোবাসার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হূত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। এ সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ওই সময় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ছিলেন তারা। এরপর তিনি জার্মানি হয়ে দিল্লিতে পৌঁছেন। নির্বাসিত জীবনের বেশির ভাগ সময়ই তিনি দিল্লিতে কাটান। পরে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিরবচ্ছিন্ন দীর্ঘ সংগ্রাম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তার একটানা অকুতোভয় সংগ্রাম। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো তার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষে আজ বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা করবে দলটি। এতে সভাপতিত্ব করবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।