কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের গড়াই নদীর উপর নির্মিত কুষ্টিয়া- হরিপুর শেখ রাসেল সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও নদী ভাঙন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির। মানববন্ধন শেষে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে সেতুর নিচে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নদী ভাঙন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব হাসান আলী।
সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও নদী ভাঙন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে নদী পাড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এ সময় হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শম্পা মাহমুদ, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাহাবুব আলী,ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অসিত সিংহ রায়, সাংস্কৃতিক কর্মী এ্যাড. লালিম হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচী থেকে অবিলম্বে সেতু রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কুষ্টিয়া থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে উচ্ছেদের ঘোষণা দেন নদী ভাঙন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ। নদী ভাঙন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির দাবি অসম্পূর্ণ ডিজাইনে নির্মিত হওয়ায় নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যে গড়াই নদীর বাম তীর ভেঙ্গে সেতুর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হরিপুর ইউনিয়নের ২নং হাটশ হরিপুর ওয়ার্ডের প্রায় দেড় হাজার পরিবারের বসতভিটাসহ গোটা জনপদের মসজিদ, মাদ্রাসা, সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও রাস্তা-ঘাট নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সৃষ্ট ভাঙ্গনে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেতুর হরিপুর অংশের পশ্চিম পার্শ্বে প্রায় ২শ মিটার নদীর তীর সংরক্ষণ বাধ ভেঙ্গে শেখ রাসেল সেতুর প্রটেকশন বাধে ঢুকে পড়ে। এতে এক রাতেই সেতু সংরক্ষণে নির্মিত সিসি ওয়ার্ক বাধের প্রায় ৩০মিটার নদীতে গর্ভে তলিয়ে যায়। এদিকে ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ঠেলাঠেলি শুরু করে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বলছেন, সেতুটি ঝুকিতে পড়লেও আমাদের আর কিছু করার নেই। নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি এখন দেখার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান ব্রীজের প্রটেকটিভ এরিয়ায় ভাঙ্গন হলে সেটা দেখবেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। শুধু সেতুর সংরক্ষণ বাধ নয়,ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে গড়াই নদীর বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধেও।