নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
রোববার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো’র বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজধানীতে গত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কমবয়সীরা আহত হয়েছে। এটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক। বিক্ষোভের কারণে অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে, শেখার সুযোগ থেকে শিশুদের বঞ্চিত করা হয়েছে।’
‘সহিংসতার খবরগুলোতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তরুণদের উদ্বেগ যৌক্তিক। ঢাকার মতো একটি মেগা সিটিতে এর সমাধান প্রয়োজন। শিশু, কমবয়সী মেয়ে ও নারীসহ সবার নিরাপত্তার জন্য একটি কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত। যে কোনও ধরনের সহিংসতা এড়াতে শিশু-কিশোরসহ সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে জাতিসংঘ।
‘সড়ক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা শিক্ষার্থীদের বৈধ অধিকার। সহিংসতার হুমকি পাওয়া ছাড়াই তাদের মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। ’
জাতিসংঘ বলছে, দুনিয়াজুড়ে আরও ভালো সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়েছে। বাংলাদেশে তরুণদের প্রাণহানির একটি বড় কারণ সড়ক দুর্ঘটনা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাজপথে নামে শিক্ষার্থীরা। শুরুতে অহিংস থাকলেও ধীরে ধীরে সহিংস হয়ে ওঠে এ আন্দোলন। গত দুইদিনে হামলা-সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহতের খবর পাওয়া গেছে। আল জাজিরা, বিবিসি, ডয়চে ভেলে, আনাদোলু এজেন্সি, গালফ টাইমস, সিনহুয়া, এপি, এএফপি’র মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর।