বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে।
সাধারণ ছুটি চলাকালে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য সাধারণ জনসাধারণকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই সময় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে দোকানপাট, শপিং মল চালু রাখা যাবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় ছুটির বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা:
১. সাধারণ ছুটির সময় ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞাকালে এক জেলা থেকে অন্য জেলা এবং এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬টা অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।
২. এই ছুটি/চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালে জনসাধারণ ও কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
৩. রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে আগামী ১০ মে থেকে দোকানপাট চালু রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। বড়বড় শপিং মলের প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিং মলে আগত যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। দোকানপাট এবং শপিংমলগুলো আবশ্যিকভাবে বিকাল ৫টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
৪. সাধারণ ছুটি/চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালীন জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ পানি গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন।
৫. সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহণে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্ডো ভ্যাসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।
৬. কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের কাঁচামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরিসেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে ছুটি প্রযোজ্য হবে না।
৭. চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম এবং কেবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
৮. ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সকল কল-কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।
৯. স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রণীত বিভিন্ন কলকারখানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
১০. পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্পকারখানা, কৃষি ও উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।




Discussion about this post