মোঃ তামজীদুল হক ফাহিম,ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী গতকাল রাতে সসস্ত্র হামলার সম্মুখীন হয়েছেন। আনুমানিক রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বড়দাহ নামক স্থানে তিনি এ হামলার শিকার হন।
উপাচার্যের ভাষ্যমতে ‘আমি ও আমার এপিএস রেজাউল করিম রাত দশটায় দিকে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্য রওনা করি। দৌলতদিয়া ঘাট পার হবার পর ড্রাইভারকে ঝিনাইদাহ হয়ে যাবার নির্দেশ দেই। ঝিনাইদাহে রেজাউলকে নামিয়ে দিয়ে গাড়াগঞ্জ ব্রিজ পার হবার পর রাস্তায় গাছ ফেলানো দেখতে পাই। ড্রাইভার তখন গাড়ী ঘুরানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে ৩/৪ জন গাড়িতে রামদা দিয়ে আঘাত করে জানালার কাচ ভেঙে ফেলে। আমরা তখন গাড়ী থেকে নেমে ভয়ে পালিয়ে পাশের জংগলে চলে যাই। ওরা টর্চ দিয়ে আমাদের খুজে বের করে ধরে নিয়ে আসে। আমি ওদের আমার ল্যাপটপ নিয়ে আমাকে ছেড়ে দিতে বলি। কিন্তু ওরা ল্যপটপ না নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও গাড়িতে বসতে বলে। ওরা একটু দুরে চলে গেলে পুনরায় আক্রমনের ভয়ে আমি দৌড় দিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেই। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে আমাকে তারা ক্যাম্পাসে পৌছে দেয়।’
এ হামলার প্রতিবাদে বিবৃতি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইংরেজী বিভাগ, প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম, গ্রীন ফোরাম, ইবি প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তারা বিচার-বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে এ বর্বরোচিত ও কাপুরুষিত হামলার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর বলেন ‘এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হামলা বলে মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা ইবি থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।’
শৈলকুপা থানার ওসি বলেন ‘প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি ডাকাতি মনে হচ্ছে। আমরা তদন্তে নেমেছি। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে’