যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মোখলেসুর রহমান জানান, গতকাল শনিবার ভোরের দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের নোঙ্গরপুর এলাকায় দুই দল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ দুই ডাকাতের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ওয়ানশুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি, পাঁচটি কার্তুজ, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র, দড়ি, স্যান্ডেলসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে ঝিকরগাছা থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার চাপাতলা মাঠ এলাকায় ডাকাতি হচ্ছে—গ্রামবাসীর মাধ্যমে এই খবর পেয়ে গতকাল ভোরের দিকে পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ পায়। পরে লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, গাছি দা, রামদা, চায়নিজ কুড়ালসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির পণ্য ভাগাভাগি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
এদিকে গতকাল বিকেলে যশোরের বেজপাড়া এলাকায় উম্মে মাওয়া খুশি (২৫) নামের এক গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর লাশও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ওই চার লাশ ও আত্মহত্যা করা গৃহবধূর লাশের ছবি তুলতে হাসপাতাল মর্গে গিয়েছিলেন যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমাজের কাগজের ফটো সাংবাদিক রবিউল ইসলাম মিঠু (৫০)। ছবি তুলে মর্গ থেকে বেরিয়েই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি, পরে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয় বলে সমাজের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন।
স্থানীয় দৈনিক সমাজের কথার স্টাফ রিপোর্টার এস হাসমী সাজু জানান, মর্গ থেকে মৃতদেহের ছবি তুলে বাইরে বেরিয়েই পড়ে যান মিঠু। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের ডা. রাশেদ রেজা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফটো সাংবাদিক মিঠু মারা গেছেন।
রবিউল ইসলাম মিঠু যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড বাইলেনের বাসিন্দা। তাঁর বাবা মৃত ইব্রাহিম মোল্লা। মিঠু মা, দুই সন্তান, তিন ভাই-বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় রেখে গেছেন। তাঁর ছোট মেয়ের বয়স মাত্র তিন মাস। ১৬ বছর বয়সী বড় ছেলেটি বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইনস্টিটিউটের ছাত্র।