যশোরে ধারালো অস্ত্র ও বোমার আঘাতে আহত আরাফাত মুনাফ লিটন (৩২) শনিবার ভোরে মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে যশোর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
লিটন যুবলীগ নেতা ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে সংগঠনের জেলা সভাপতির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিহতের ভাই যশোর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল মুনাফ দিলু ও আহত আরেক যুবলীগকর্মী ফজলুল করিম মিলন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে লিটন, মিলনসহ যুবলীগের স্থানীয় কয়েকজন যশোর শহরের ঘোপ আঞ্চলিক যুবলীগ অফিসে বসেছিলেন। ওই সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের সুমন, আকাশ, কুদ্দুস, ইসরাফিল, রেজোয়ান, শাকিলসহ ২০-২৫ জন সেখানে আসে এবং অন্যদের সেখান থেকে বের করে দেয়। এরপর তারা লিটনকে এলোপাতাড়ি ছুরি মারে। পরে তারা ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।
স্থানীয় লোকজন আহত লিটন ও মিলনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। মিলনের পায়ে আঘাত লেগেছে। তিনি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তারা জানান, রাত ১২টার দিকে লিটনকে অপারেশন থিয়েটার থেকে চিকিৎসকরা বের করেন। এরপরই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে লিটনের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে স্বজনরা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে ভোর চারটার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের মরদেহ যশোর এনে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর সেলফোনে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) আবুল বাশার বলেন, ‘আহত যুবলীগ নেতা মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনায় গতরাতেই একটি মামলা হয়েছে। এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।’