এসময় মোতালেব গাজী নামের এক ব্যক্তির ধানের আড়ৎ এবং কাশেম গাজী নামের অপর ব্যক্তির সার ও কীটনাশকের দোকানের অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

খবর পেয়ে মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দেড়ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লেগে তিন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার মালামাল পুড়েছে বলে জানিয়েছেন মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মিয়া। খবর পেয়ে রোববার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে।

মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, রাত দুইটার দিকে রাজগঞ্জ কলেজ মোড়ে দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এক ঘন্টা ২০মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে দোকানের ভিতরে ঢুকে আগুনে দগ্ধ এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুরির উদ্দেশে ওই ব্যক্তি দোকানে ঢুকেছিলেন। তখন হয়তোবা অন্ধকারে বিদ্যুতের তারে হাত লাগে। ফলে বৈদ্যুতিক শক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

মুদি দোকানের মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমি দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। রাত দুইটার দিকে লোকজনের চিৎকার শুনে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুটো ফ্রিজ, নগদ ৫০ হাজার টাকা, পেট্রোল, ডিজেলসহ দোকানের মালামাল পুড়ে প্রায় ৬-৭ লাশ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জয়নাল আবেদীনের পাশের ধানের আড়ৎ মালিক সাবেক ইউপি সদস্য মোতালেব গাজী জানান, আগুন লেগে তার আড়তের প্রায় আড়াই লাখ টাকার ধান পুড়েছে।

এদিকে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দগ্ধ লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, গতরাত থেকে হানুয়ার গ্রামের জনৈক এক যুবককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই যুবক চোর এবং নেশাখোর। পুড়ে যাওয়া লাশটি সেই যুবকের বলে ধারণা এলাকাবাসীর।

মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পুড়ে মারা যাওয়া লোকটি চুরির উদ্দেশে ওই দোকানে ঢুকেছিল। আমরা লাশ হেফাজতে নিয়েছি। লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার পর বোঝা যাবে লাশটি কার।