মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামে তাপসী খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গৃহবধূ তাপসী মহিষাখোলা গ্রামের তেঁতুলবাড়ীয়া পাড়ার বাসিন্দা ও মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান বানার স্ত্রী এবং ধানখোলা গ্রামের উত্তরপাড়ার মুন্টু আলীর মেয়ে।
গত শনিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূ তাপসী মারা যান। স্থানীয়রা জানান,মহিষাখোলা গ্রামের মহিরুল ওরফে মহুরুলের ছেলে মিজানুর রহমান বানার সাথে গত ৫ বছর আগে বিয়ে হয় তারই ফুফাতো বোন তাপসীর সাথে। মিজানুর বিয়ের পর-পরই তার স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কর্মের তাগিদে পানি পথে মালয়েশিয়ায় যান। কর্মের সুবাদে সেখানে তিনি ৫ বছর কাটিয়ে,গত ১ সপ্তাহ আগে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে পারিবারিক বিষয়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়।
গত শনিবার সকালে তাপসী ও তার স্বামী মিজানুর রহমানের মধ্যে বাকবিতন্ডাও হয়। পরে বাড়ির সবার অজান্তে তাপসী শনিবার আনুমানিক বিকেল ৩টার দিকে স্বামীর ঘরের আড়ার সাথে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশী-নিকট আত্মীয় এক মহিলা তাকে জানালা দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে। এ সময় ওই মহিলার চিৎকারে পাড়ার লোকজন ঘরের জানালা ভেঙ্গে তাপসীকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরে শনিবার আনুমানিক রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রোববার সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তাপসীর মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিন বাদ আছর জানাজা শেষে মহিষাখোলা তেঁতুলবাড়ীয়া গোরস্থান ময়দানে দাফন সম্পন্ন হয়। ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) বশির আহমেদ জানান,তাপসী তার স্বামীর সাথে সাংসারিক কাজ-কর্ম নিয়ে ঝগড়ার কারণে আত্মহত্যা করেছে।