কুষ্টিয়ার মিরপুরে প্রেমের ফাঁদে পড়ে মুল্য হিসাবে নিজের জীবন দিতে হয়েছে তাকে। প্রেমিকের প্রতারনার কারনে গলাই ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে কুষ্টিয়ার মিরপুরের স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া (১৪)।
আজ রবিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।নিহত সুমাইয়া মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রাম গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং আটিগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পুরাতন আটিগ্রাম গ্রামের প্রভাবশালী জাসদ নেতা আব্দুল্লাহ এর ছেলে জমজম আলীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আটিগ্রাম এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া।
গত ৩-৪ মাস আগে গ্রামবাসী তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। এই নিয়ে স্কুল থেকে সুমাইয়াকে বের করে দেয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এবং জমজম সুমাইয়াকে বিয়ে করতে রাজি হয় না। শুক্রবার তার প্রেমিক জমজমের সাথে সুমাইয়ার বাক বিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে জমজম সুমাইয়াকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে অভিযান করে শনিবার সন্ধ্যায় সে নিজ শয়ন কক্ষে গলাই ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। সুমাইয়া মৃত্যুর আগে সে কিছু নোট লিখে গেছে।
নিহত সুমাইয়ার মা বিলকিস খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় জমজম। পরে আর বিয়ে করতে রাজি হয়নি। সে আমার মেয়েকে ফোন দিয়ে বলে তার কাছে ছবি আছে যা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। কোন স্কুলেই তাকে ভর্তি নেবে না। সমাজেও মুখ দেখাতে পারবে না। এজন্য সে শনিবার সন্ধ্যায় ওড়না পেচিয়ে মারা যায়। আমি এর সুষ্টু বিচার চাই।
আটিগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লুৎফর রহমান জানান, আমি বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক জানি না। তবে স্কুল থেকে কেন বের করা দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষক জানে। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই সুমাইয়াস্কুলে আসে না।
আটিগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাম্মদ খেলাফত হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
মিরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) লাল চাঁদ জানান, আজ সকালে আমরা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেছি। কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।