গতকাল শনিবার কুৃষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে যান মিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম।
দুপুর ২ টা ৫৫ মিনিটে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় প্রবেশ করে শ্রেণী কক্ষে কোন শিক্ষককে ক্লাসে অনুপস্থিত পাননি উপজেলা শিক্ষা অফিসার। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকসহ তিনজন সহকারী শিক্ষক ক্লাসরুমে বসে খোঁশগল্পে লিপ্ত ছিলেন বলে জানা যায়।
এদিকে শিক্ষকদের ক্লাসরুমে না থাকার সুযোগে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধুলা করছিলো। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেই বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষ পরিদর্শন করেন। এর কয়েক মিনিট পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলামের বিদ্যালয়ে আগমনের বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রধান শিক্ষকসহ অপর তিনজন সহকারী শিক্ষক অফিস হতে বের হয়ে আসেন।
এসময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার ঐ শিক্ষকদের কাছে জানতে চান শ্রেণিকক্ষে না থেকে অফিসে রয়েছেন কেন? জবাবে প্রধানশিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকরা জানান বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে নাই বলে তারা অফিসরুমে ছিলেন। বিদ্যালয়ে কেন শিক্ষার্থীরা নাই প্রশ্ন করলে শিক্ষকবৃন্দ নানা অজুহাত দেখান।
এরপর উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রধানশিক্ষকসহ অপর তিনজন সহকারী শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে খুঁজে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠান। ৩০ মিনিট পর তাঁরা বিদ্যালয়ের ৭২ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৪৯ জনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে হাজির হন। বেলা ২: ৫৫ ঘটিকায় শ্রেণিকক্ষে কোন শিক্ষার্থী না থাকা এবং শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রধানশিক্ষকসহ অপর তিনজন সহকারী শিক্ষককের মাসিক বেতন সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করেন এবং বেতন কেন বন্ধ করা হবে না মর্মে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণকৃত শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষকের চলতি বছরের এপ্রিল মাস হতে নিয়মিত বেতন ভাতা প্রদান শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট নিরসনে নতুন বিল্ডিং নির্মানের লক্ষে গতকাল শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে মাটি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।