গত ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে জেলার মিরপুর উপজেলার নওদাপাড়া চৌদুয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শুন্যপদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১০ লক্ষাধিক টাকা উৎকোচ বানিজ্য ছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি ও ডিজির প্রতিনিধির উপস্থিতি ছাড়াই পরীক্ষা অনুষ্ঠিতি হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে নিয়োগ পরীক্ষায় ১৫ জন আবেদন করলেও এর মধ্যে ১০ জন অনিয়মের অভিযোগ এনে পরীক্ষা বর্জন করেন। বর্জনকারী ১০ আবেদনকারী ও এলাকার শিক্ষা সচেতন ব্যক্তিবর্গ প্রহসনের ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে সুষ্ঠু পদ্ধতি অনুসরন করে পূনঃনিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জোর দাবী তুলেছে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পর্ষদের সভাপতির নিকটাত্মীয় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার বিধান নেই। কিন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং পর্ষদের সভাপতি সৈয়দ রাশেদুল আলম রুবেল তার চাচাত ভাই রুহুল আমিনকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, নিয়োগের একমাস পূর্বে রুহুল আমিন তার প্রতিবেশির কাছে দেড় বিঘা সম্পত্তি বিক্রি করে ১১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষকের চাকরিটি নেন। অবৈধ এ নিয়োগের সুষ্ঠু তদন্ত করলে সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসী দাবী করেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ নওদাপাড়া-চৌদুয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য হয়। শুন্যপদে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে বিভিন্নস্থান থেকে ১৫ জন আবদেন করেন। নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত হলে পরীক্ষার দিন প্রার্থীরা কেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি পদাদিকার বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডিজির প্রতিনিধি উপস্থিত নেই। এ কারণে ১৫ আবেদনকারীর মধ্যে ১০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকেন। তা সত্ত্বেও রুহুল আমিন, রুনা, শফিকুল, ইয়ার আলী, রাজিয়া সিদ্দিকীয়া নামের ৫ প্রার্থী অংশ নেন।