ভারতের কলকাতায় গাড়িচাপায় নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী-বিএসএফ।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় দুই দেশের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ দুটি হস্তান্তর করা হয়।
নিহত দুই বাংলাদেশি হলেন- ঝিনাইদাহ জেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে কাজি মোহাম্মাদ মঈনুল আলম (৩৬) ও কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার চান্দুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০)।
কলকাতার সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়র স্মরণি ও লাউডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। জাগোয়ার নামের একটি দ্রুতগামী গাড়ি শেক্সপিয়র স্মরণি ধরে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় প্রচন্ড গতি নিয়ে ধাক্কা দেয় একটি মার্সিডিজকে। এরপর জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পথচারীকে পিষে দেয়। গুরুতর আহত ওই দুইজনকে কলকাতার এস এস কেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ভারতীয় পুলিশ সুত্র জানায়, তারা দুজন গত ১৫ দিন যাবত কলকাতায় চিকিৎসা করতে ওই এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন।
নিহতদের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ফারহানা ইসলাম ঢাকায় সিটি ব্যাংকে ও মঈনুল ইসলাম ঢাকায় গ্রামীণ ফোনে চাকরি করতেন। তারা জানায় গত ১৫ দিন আগে তারা ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্য গিয়েছিল।
ভারতে তাদের সাথে যাওয়া কাজি সাফি রহমত উল্লাহ জানান, আমরা তিনজনই দাঁড়িয়ে ছিলাম শেক্সপিয়র স্মরণি রোডে। এমন সময় আকস্মিক জাগুয়ার নামে একটি বাস সজোরে পাশের রাস্তায় উঠে পড়ে ফারহানা ও মঈনুলকে চাপা দেয়। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত ফারহানার লাশ বেনাপোল চেকপোষ্টে গ্রহণ করেন তার চাচাতো ভাই আবু ওবাইদা সাফিন ও মঈনুল আলমের লাশ গ্রহণ করেন তার চাচাতো ভাই জিয়াদ আলী।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত থেকে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।