চড়া দামে মাংস কিনতে গিয়ে বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা
সম্প্রতি ভারতীয় গরু মহিষ আসা বন্ধ হওয়ায় হতাশায় ভূগছে ব্যবসায়ীরা অপর দিকে চড়া দাবে মাংস কিনতে গিয়ে চরম বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার কয়েকজন গরু মহিষ ব্যবসায়ী জানান, বেশ কয়েক বছর আগে আমরা ভারত থেকে গরু মহিষ কাস্টম করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে চলেছি এবং কাস্টম করে তা থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পেয়েছেন সংকার। পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল গরু-মহিষের মাংস।
এ দিকে গত ১০বছর আগে কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত কাস্টম মোড় এলাকায় ভারত থেকে আসা গরু-মহিষের উপর ভ্যাট নিয়ে বৈধতা দেয়ায় মোটা অংকের রাজস্ব পেয়েছেন সরকার। এতে করে এক দিকে লাভবান হয়েছেন সরকার অপরদিকে গরু-মহিষ ব্যবসায়ীরা কিছুটা লাভবান হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবেই দিনাতিপাত করেছেন। কিন্তু তা এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে ওই সব গরু- মহিষ ব্যবসায়ীরা। অপর দিকে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে গরু মহিষের মাংস।
কুষ্টিয়া শহরে বাজারের আসা কয়েকজন সাধারন ক্রেতা জানান, যখন ভারতীয় গরু-মহিষ কাস্টম হয়ে বাংলাদেশে এসেছে তখন আমরা সপ্তাহে এক দিন গরু কিংবা মহিষের মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছি। এখন মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও পরিবারের জন্য মাংস কিনতে পারিনা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কোন এক অজানা কারণে কুষ্টিয়ার ভাগজোত কাস্টম বসা বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে দৌলতপুর এলাকার অনেক গরু ব্যবসায়ী আজ পথে বসেছে। দৌলতপুর ভাগজোত এলাকার গরু ব্যবসায়ী ঝেলু মেম্বার বলেন, ভাগজোত এলাকায় কাস্টম থাকা কালে আমরা গরুব ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারতাম। এখন কাস্টম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা আর গরুও আনতে পারিনা। এখন আমরা কষ্টে-দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। গরু ব্যবসায়ীদের দাবি সরকার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ আসার সুবিধা করে দিলে একদিকে সরকার পাবেন মোটা অংকের রাজস্ব। অপরদিকে গরু-মহিষের ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে ভালো ভাবে চলতে পারবো।
সূত্র জানায়, আজ শনিবার সকালে দৌলতপুর রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়নের ঠুটারপাড়া বিওপি দিয়ে ৩টি মহিষ আসে পরে সেই মহিষ ১লক্ষ৩০ হাজার টাকা কাস্টম অকশনে বিক্রয় করা হয়। যদি বৈধভাবে গরু মহিষ আসার সুযোগ করে দিতো তাহলে অবৈধভাবে গরু-মহিষ আসতো না এবং ব্যবসায়ীকে লোকসানের ঘানি টানতে হতো না।
তাই কাস্টম বসিয়ে বৈধভাবে গরু মহিষ আসার সুযোগ করে দিলে সরকারও মোটা অংকের রাজস্ব পাবেন এবং ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারবে। এছাড়া সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে গরু- মহিষের মাংস। তাই সাধারণ ক্রেতা-ব্যবসায়ী ও রাজস্বের বিষয়ে বিবেচনা করে দৌলতপুর ভাগজোত এলাকায় কাস্টম বসিয়ে গরু-মহিষ ব্যবসার সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে সারা দেশের মধ্যে কুষ্টিয়ার কাস্টম গরু-মহিষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি রাজস্ব পেয়েছেন।