মনোহার আলী। বয়স ৭০ বছর। বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মুলগ্রাম এলাকায়। ৪ ছেলে ও ২ মেয়ের বাবা তিনি। তবে কেউ তার খোঁজ নেয় না। তাইতো শেষ বয়সে এসেও তিনবেলা খাওয়ার জন্য তাকে কাজ করতে হয়।
জানা গেছে, মাঠে কাজ করার শক্তি নেই বলে বর্তমানে পাঁপড় বানিয়ে কুষ্টিয়া শহরে বিক্রি করেন মনোহার আলী। এ কাজে স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করে। পাঁপড় বিক্রি করে যা লাভ হয় তা দিয়েই সংসার চলে এ দম্পতির।
আক্ষেপ করে মনোহার আলী বলেন, ‘সন্তানদের লালন-পালন করে বড় করে তুলেছি। এখন তারা তাদের সংসার সামলাচ্ছে। কোনো সন্তানই আমাদের খবর রাখে না। তাই বাধ্য হয়েই কাজ করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকার পাঁপড় বিক্রি করতে পারি। এর মধ্যে ১৫০-২০০ টাকা লাভ থাকে। তা দিয়েই সংসার চলে।’
মনে কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন, ‘বয়স হয়েছে, আর কাজ করতে ইচ্ছা করে না। সবই কপাল।’
Discussion about this post