আজ ২২শে শ্রাবণ। বাংলা সাহিত্যের প্রাণ পুরুষ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণদিবস। এ দিনেও কবিগুরুর স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আজ সুনসান নীরবতা। কবির মহাপ্রয়াণ দিবসে সেখানে নেই কোনো আয়োজন। এতে মর্মাহত কবিরভক্ত ও রবীন্দ্র গবেষকরা।
কবিগুরু’র জীবনে এক উজ্জ্বল অধ্যায় শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে। কলকাতার ইট-পাথরের দেয়ালে বন্দি রবীন্দ্রনাথ পদ্মা-গড়াই বিধৌত শিলাইদহে এসে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলেন। তার সাহিত্য ভান্ডারের অনেকটায় তিনি রচনা করেন এই শিলাইদহে বসে।
২৫শে বৈশাখ মহা ধুমধামে কবির জন্ম জয়ন্তী পালন করা হয় এই কুঠিবাড়িতে। তবে ২২ শ্রাবণ কবির প্রয়াণ দিবসে নীরব নিথর তার স্মৃতিধন্য কুঠিবাড়ি। তারা জন্মবার্ষিকীর মতো মৃত্যুবার্ষিকীর দিবসও পালনের দাবি ভক্ত-দর্শনার্থীদের।
শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আসা দর্শনার্থী রামিসা আনান ত্রয়ী বলেন, আমি এখানে এসে হতাশ হয়েছি এই কারণে ২৫শে বৈশাখ ধুমধামে কবির জন্মজয়ন্তী উৎসব পালন করা হলেও কবিগুরু’র মৃত্যুবার্ষিকীতে নেই তেমন কোনো আয়োজন। কবির মহাপ্রয়াণ দিবসে যেন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রশাসনের কাছে এমনটাই প্রত্যশা।একই দাবি জানালেন কুঠিবাড়িতে আসা দর্শনার্থী ইরফান রানা।
জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার অন্যতম সদস্য ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতন বলেন, রবীন্দ্র গবেষক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা মনে করেন রবীন্দ্রনাথ আজও সুশীল সমাজের কবি হয়ে রয়েছেন। এই ধারা ভেঙে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কবির মিলন ঘটাতে হবে বলে জানান তিনি।
শিলাইদহ কুঠিবাড়ির কাস্টডিয়ান মখলেসুর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে যাতে কুঠিবাড়িতে কবির প্রয়াণ দিবসে অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।