বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জন্য তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এসব উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক বলেন, কানাডা থেকে তিনটি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) এসব উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলো অভ্যন্তরীণ রুটে ড্যাশ-৮ ব্যবহার করছে। এটা তাদের জন্য ঠিক আছে। কারণ এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা বিমানের পক্ষে সম্ভব হয় না। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বিমানের চেয়ে বেসরকারি বিমান সংস্থার ভাড়া বেশি। এ কারণে তারা খরচ পোষাতে পারে।
বিমানবহরে বর্তমানে ২টি ড্যাশ-৮ আছে। ভাড়ায় আনা এ দুটির মধ্যে গড়ে একটি উড়োজাহাজ বিকল থাকে। গত ২৫ অক্টোবর সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর একটি উড়োজাহাজের একটি চাকা খুলে পড়ে। পাইলটের দক্ষতায় উড়োজাহাজটি নিরাপদে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করলেও ওই ঘটনার পর অনেক যাত্রীই বিমানের ড্যাশ-৮ এড়িয়ে চলছেন।
ড্যাশ-৮ দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, সৈয়দপুর, যশোর, বরিশাল ও কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা-কলকাতা গন্তব্যেও ব্যবহার করা হয়।
ড্যাশ-৮-এর প্রস্তুতকারক হচ্ছে কানাডিয়ান কোম্পানি বোমবারডিয়ার। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে গত ৩০ নভেম্বর নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ কেনার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠায়। এ জন্য যে টাকার দরকার হবে সেটার জোগান দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কানাডার সরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডা (ইডিসি)।
বিনা দরপত্রে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি পদ্ধতি) এই কেনাকাটার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি ক্রয় আইনের ৬৮ ধারা অনুযায়ী বিনা দরপত্রে এই তিনটি উড়োজাহাজ কেনার জন্য অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।