শেখ হাসিনার উদ্যেগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এ স্লোগানকে ধারণ করে এবছর পালিত হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা আয়োজনে দিবসটি পালন ছাড়াও গত বৃহষ্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ৩দিনব্যাপী বর্ণিল এই আয়োজনের মূল কেন্দ্র ছিলো ঢাকাস্থ বসুন্ধরা সিটির আন্তর্জাতিক কনভেশন সেন্টার।
সেখানে দেশব্যাপী গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সেবার মানদন্ডের ভিত্তিতে চুড়ান্ত মূল্যায়নে পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকোলি: কুষ্টিয়া-১ দেশসেরা শ্রেষ্ঠত্বে গৌরব অর্জন করায় পুরষ্কার তুলে দেয়া হয় ওজোপাডিকোলি: কুষ্টিয়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আরিফুর রহমানের হাতে। শনিবার সন্ধায় তিনদিনের জমকালো অনুষ্ঠানের সমাপনীতে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এই পুরস্কার তুলে দেন।
কুষ্টিয়া অঞ্চলের বিদ্যুৎ সেবার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানী লি: (ওজোপাডিকো)র কুষ্টিয়া সার্কেলের তত্ববধায়ক প্রকৌশলী(ভারপ্রাপ্ত) আরিফুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও সমন্বিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে আস্থা নির্ভর ও গুনগতমান সম্পন্ন বিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করে দৃশ্যত: সফলতা অর্জন করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সপ্তাহ-২০১৮তেও ৩য় বারের মতো দেশ সেরা শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের ঘোষণা ভিশন ২০/২১। এলক্ষ্যে বিশ্বমানের প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটালাইজড বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এর বাস্তবায়নে মৌলিক উপাদান পাওয়ার বা বৈদ্যুতিক শক্তির সুলভ সরবরাহ। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবনে সরকারও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে অতীতের ভঙ্গুর ও নাজুক পরিস্থিতির উত্তোরনে গ্রহণ করেছে বিশাল কর্মপরিকল্পনা।
দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ সেক্টরে দৃশ্যত: এক বৈপ্লবিক উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। দেশব্যাপী এর সুবিধা ইতোমধ্যেই গ্রাহক ও ব্যবহারকারী শ্রেনী পর্যায়ে প্রত্যাশা পূরণে আশা জাগিয়েছে। তবুও এই সেক্টরে সর্বশেষ উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থা সঠিক ভাবে চলমান থাকলে গ্রাহক ও ব্যবহারকারী পর্যায়ে বিদ্যুৎ দুর্ভোগে অসন্তোষ ও বিক্ষোভের মুখে পড়ে সরকারকে আর বিব্রত হওয়ার দিন শেষ। তবে এখনও বিতরণ ব্যবস্থায় খুব ছোট খাটো অনিয়ম, অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, অস্বচ্ছতা, জবাবহীনতা ও বিচ্যুতি যেগুলি আছে সেগুলি দুর করতে হাতে নেয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প। যাতে করে বিদ্যমান পরিস্থিতিতেই বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানসমুহ নবায়ণযোগ্য খাতকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে তাদের সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ দিয়ে আরও অধিক সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করতে পারে।
একই ভাবে ওভার লোডজনিত কারণে পূর্বের ঘনঘন বা অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিভ্রাট হ্রাস পেয়েছে যা গ্রাহকরাও স্বীকার করছেন। এছাড়া গ্রাহক পর্যায়ে আস্থা নির্ভর ও গুনগতমান সম্পন্ন বিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে।