ঝিনাইদহ ওজোপডিকোর বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুড়ে গেছে নিয়ন্ত্রন কক্ষের বোর্ড। ঘটনার পর থেকে জেলায় ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ আগুনের সুত্রপাত হয়। বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয় ফায়ার ব্রিগেড আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম কুমার জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে ঝিনাইদহ গ্রিড হাউজের ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আগুন লাগে। এ সময় নিয়ন্ত্রন কক্ষের একাধিক বোর্ডে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বেলা পৌনে ৪টার দিকে ঝিনাইদহ দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বেলা ৫টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।
তিনি জানান, আগুনে ঝিনাইদহ জেলার ৬টি ফিডারের মধ্যে দুইটির বোর্ড সম্পূর্ণ পড়ে গেছে। আগুন নেভানোর সময় অন্য ৪টি বোর্ডে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে ওজোপাডিকোর সবগুলো সরবরাহ লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনার পরে জেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রয়েছে।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান বলেছেন, জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ করা সোর্স লাইন অক্ষত রয়েছে।
তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ এবং এক লাখ ৩২ হাজার কেভির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ অক্ষত রয়েছে। এতে করে দ্রুত সময়ে পল্লী বিদ্যুতের লাইন চালু করা সম্ভব হবে। তবে ওজোপাডিকোর বিদ্যুৎ সরবারহ লাইন চালু করতে সময়ের প্রয়োজন হবে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন করে যন্ত্রপাতি বসানোর পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মরত একাধিক টেকনিশিয়ান জানিয়েছেন গ্রিডের ফায়ার সিস্টেম কাজ করেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে যে সব যন্ত্রপাতি রয়েছে তা কাজে লাগাতে পারেননি তারা। এতে করে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
কুষ্টিয়া ও খুলনা থেকে একাধিক বিশেষজ্ঞদল ঘটনাস্থলে আসছেন বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত আগুনের প্রকৃত কারণ জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এ গ্রিড দুর্ঘটনার ফলে জেলার সবগুলো হাসপাতালসহ অন্তত ৬০ হাজার গ্রাহক মিল কলকারখানা বিদ্যুৎশুন্য হয়ে পড়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের লাইন চালু করায় গ্রাম এলাকায় বিদ্যুৎ রয়েছে বলে জানা গেছে।