৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।
এসময় জেরা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহীন সরকার জেলা কালচারাল অফিসার সুজন রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ কার্যক্রম পরিদর্শনে তিনি বলেন, সাংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে কুষ্টিয়াকে অভিহিত করা হলেও বলা হয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ছিলো না। সেই সাংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়াকে তুলে ধরার মাধ্যম শিল্পকলা একাডেমি। জেলার কৃষ্টি-কালচারকে দেশ তথা বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে যে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে তা হলো শিল্পকলা একাডেমি। সেক্ষেত্রে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির অবদানও যে কম নয়। তবে গুরুত্ব থাকলেও অবকাঠামোগতভাবে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিলো এটি। ভঙ্গুর অবকাঠামোর ভেতর দিয়েই প্রাণান্তর চেষ্টা জেলার সংস্কৃতিকে বিকশিত করার। তবে এবার সেই সুদিন ফিরছে শিল্পকলা একাডেমির। সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৩ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক কমপ্লেক্স ভবন। যেখান থাকছে ৩টি অধ্যাধুনিক অডিটোরিয়াম। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ফিক্স অডিটোরিয়াম, মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম এবং এরিনা মঞ্চ। এক একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে এই কমপ্লেক্স ভবন। বাংলাদেশের মধ্যে এটিই হবে শ্রেষ্ঠ শিল্পকলা একাডেমী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে কুষ্টিয়াতে অত্যাধুনিক মানের শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মিত হচ্ছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পর কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিকে ধরা হবে দ্বিতীয় বৃহত্তর একাডেমি ভবন। কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হলে জেলা সাংস্কৃতি বিশ্বদরবারে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে। আমাদের অভিভাবক মাহবুবউল আলম হানিফ ভাইয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
এরআগে কুষ্টিয়া পৌর অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যুব সমাজের আয়োজনে’ বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে যোগ দেয়ার আগে ‘বে-সরকারী হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিতে হবে বিএনপির এমন দাবীর প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয় রায়ে দন্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন। একজন দন্ডিত কয়েদীর চিকিৎসা হবে আদালতের কোড অনুযায়ী। বিএনপি নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সর্বচ্চ চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থ্যতা নিয়ে বিএনপির রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই।
আওয়ামীলীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দেওলিয়াপনা থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থ্যতা রাজনীতির শিকার হচ্ছেন।