জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবীতে দ্বিতীয়দিনের মত চলছে কুষ্টিয়া সুগারমিল শ্রমিক কর্মচারিদের অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ। শুক্রবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া সুগারমিলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।
এদিকে কুষ্টিয়া সুগামিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি আমার নজরে আছে। শ্রমিকদের এ সমস্যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করি।
তবে এমন আশ্বাস মানতে রাজি নন কুষ্টিয়া সুগারমিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা। তারা বলছেন এমন আশ্বাস মাসের পর মাস দেন সুগামিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদের। মনে হয় উনার কথার যেনো কোনো দামি নেই। শুধু শ্রমিক কর্মচারীদের আশ্বাসের উপর রাখেন তিনি। তাই আর আশ্বাস নয় ব্যস্তবতা দেখতে চাই কুষ্টিয়া সুগারমিল শ্রমিক-কর্মচারীরা।
এ সময় অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা, তিন মাসের পাওনা বকেয়া বেতন অতি দ্রুত সময়ে শ্রমিকদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবী জানান।
কুষ্টিয়া সুগামিলের শ্রমিক আজিবর রহমান জানান, কাজ করি টাকা দেবেন বেতন বকেয়া রাখার মানে কি? সামনে ঈদ ছেলে-মেয়েদের ঈদের নতুন পোশাক এখনো কিনে দিতে পারিনি। বাড়িতে গেলেই পরিবারের মানুষ গুলোর আবদার পুরোন করতে না পাড়াই এলাকার চায়ের দোকানে বসে সময় কাটায়।
কুষ্টিয়া সুগামিলের শ্রমিক শাহিনুর রহমান বলেন, এ ভাবে যদি কুষ্টিয়া সুগারমিল চলতে থাকে তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি হাতে নেব। আমাদের বেতন থেকে শতকরা ১৫ টাকা কেটে নেয়া হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে ।
বাংলাদেশ চিনিশিল্প করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার সুগারমিল পরিদর্শনে আসেন।
শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি জানান, আগামী রোববারের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন তাদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হবে এবং কানামুনা চুক্তিভিত্তিক বেতন দেওয়া হবে।