গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) গণভবনে যান আবরারের পরিবারের সদস্যরা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইহসানুল করিম জানান, একজন মায়ের অবস্থান থেকে বিষয়টি দেখায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও মা রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তারা সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য প্রশাসন, পুলিশ ও দেশের সাধারণ মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
শেখ হাসিনা আবরারের বাবা-মাকে বলেন, “ঘটনা ঘটার পর কে কোন দলের তা দেখা হয়নি। তারা কোন দলের তা আমি জানতে চাই না। আমার কাছে হত্যাকারী একজন হত্যাকারীই, সন্ত্রাসী কেবল সন্ত্রাসীই।”
“আপনারা যা হারিয়েছেন, তাতে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার কাছে নেই। আমার দিকে দেখুন, এক রাতে আমি সবকিছু হারিয়েছি। নিকট আত্মীয় হারানোর ব্যথা আমি বুঝি।”
হত্যাকারীরা মানুষ নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা কীভাবে তাকে (আবরার) হত্যা করতে পারে, যার সাথে তারা পড়াশোনা করছিল?”
ঘটনার পর পরই পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বুয়েটের কিছু শিক্ষার্থী ফুটেজ সংগ্রহে কেন বাধা দিচ্ছিল তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়।”
প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বৈঠক কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের পরই তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবরারের মা। এসময় প্রধানমন্ত্রীও তাকে জড়িয়ে ধরে নির্ধারিত আসনে বসার পরিবর্তে সেখানেই বসে যান।
এসময় অন্যদের মধ্যে আবরারের ভাই আবরার ফাইয়াজ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।