কুষ্টিয়া হতে প্রচারিত “ দৈনিক আন্দোলনের বাজার” ও “ দৈনিক আজকের আলো” পত্রিকায় গত ১৫ অক্টোবর-২০১৯ এবং গত ২০ অক্টোবর-২০১৯ ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক “সমকাল” অনলাইন “কুষ্টিয়া ২৪” পত্রিকায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে ‘পরতে পরতে দুর্নীতি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে ২১/১০/১৯ইং তারিখে বিবৃতি দিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার মোঃ জাকের হোসেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন-কর্তৃপক্ষের কাছে কোন কিছু না জেনে এক তরফা অসত্য তথ্য প্রচার করেছে। কিছু অবাস্তব তথ্যের অবতারনায় আমার ধারণা কে বা কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অত্র প্রশাসনের ভাবমূর্তি ও বহুমুখী উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডকে ব্যাহত করার জন্য অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
জেল সুপার বলেন-জেলা কারাগারে কারাবিধি বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালিত হওয়ায় কারাগারের বন্দিদের কোন অভিযোগ নেই। বর্তমান জেল সুপার মোঃ জাকের হোসেন যোগদান করার পর থেকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারটি সংশোধনাগার হিসেবে জনমনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ, খাবার বিতরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়া, ক্যান্টিনে কর্তৃপক্ষের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী জিনিষপত্র বিক্রয় কঠোর নজরদারীর কারণে সুষ্ঠুতা ও শৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
বিবৃতিতে জেল সুপার বলেন-নিরক্ষর হয়ে কারাগারে প্রবেশ করে স্বাক্ষরতা নিয়ে বাহির হওয়া, ওকালত নামায় টিপসই নিষিদ্ধ কর্মসুচী এবং অনুর্দ্ধ ২২ বছরের বন্দিদের বাধ্যতামূলক সাক্ষরজ্ঞান লাভ, ইলেকট্রিক ও হাউজ ওয়্যারিং প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, লুঙ্গী, গামছা, তোয়ালে তৈরীর প্রশিক্ষণ, নামাজ শিক্ষা, আরবি শিক্ষা, সংগীত চর্চা প্রভৃতি কর্মকান্ডে সত্যিকারের অপরাধ সংশোধনমূলক কারাগারে পরিণত হযেছে। এসব কর্মকান্ডের উপর দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ধারাবাহিকভাবে প্রচার ও প্রকাশ হয়েছে।
বর্তমান জেলা সুপারের মেয়াদকালে অক্ষরজ্ঞান সম্পূর্ণ করেছে প্রায় ২১শত এবং আরবি শিক্ষা নিয়েছে প্রায় ১৮শত বন্দি। প্রায় ১৮৪ জন মাদকাসক্তি বন্দি ইলেকট্রনিক হাউজ ওয়্যারিং প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে মুক্তি পেয়ে নিজে গ্রামে ইলেকট্রিক কাজ করে, কেউ অন্যের দোকানে চাকুরি করে আবার কেউ নিজে দোকান চালু করেছেন। প্রায় ১৮ জন নিজ এলাকায় দোকান দিয়েছে। তাদেরকে অত্র কারা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করেছে। তাদের নিয়মিত খবরা-খবর রাখছে এবং তাদের বর্তমান অবস্থা তদারকী করার জন্য স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে ঠিকানাসহ প্রতিমাসে লিখিতভাবে অবহিত করা হচ্ছে। যার ফলে বন্দিরা মাদকের নেশা ছেড়ে সংসারমুখী হয়ে সম্পুর্ণ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কুষ্টিয়া কারাগারের বন্দি কল্যাণে মহতী উদ্যোগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়া কারা কর্র্র্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে প্রশংসিত করেছেন। কুষ্টিয়া কারাগারের কর্তৃপক্ষের প্রশংসনীয় সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়েছে। জেল সুপার অসত্য, বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।