‘উন্নয়নের রোল মডেল শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ স্লোগানে দ্বিতীয়বারের মতো কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে এ মেলার উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব মু. হুমায়ুন কবীর লস্কর।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাসান হাবিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজ¯^) মোমিনুর রশীদ এনডিসি আতিকুল মামুনসহ জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের অংশ নেয়।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের মজমপুর গেট প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কালেক্টরেট চত্বরে এসে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। পরে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন ষ্টল পরিদর্শণ করেন। তিন দিনব্যাপী এ মেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৯টি স্টলে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হচ্ছে।
বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা উন্নয়ন মেলা-২০১৮ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু উন্নয়ন দর্শণ ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু. হুমায়ূন কবির লস্কর। এসময় তিনি বলেন, উন্নত দেশ বিনির্মাণে সরকারের যুগান্তকারী সাফল্য জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরতে এ উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। সারাদেশ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির কাজ চলছে। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মুস্তাক আহমেদ, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মনজুর কাদির, কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান, জিপি এ্যাড. আসম আক্তারুজ্জামান মাসুম প্রমুখ।
তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন দিনে আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তিনদিনের এই মেলায় মুক্তিযুদ্ধ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরা হচ্ছে। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন বিকালে আয়োজন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কুইজ, আলোচনা, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা। তিন দিনব্যাপী চলা উন্নয়ন মেলা শেষ হবে আগামী শনিবার।