দূর্ভাগ্য আর কাকে বলে ? এসএসসি পরীক্ষা দেবার জন্য সারা বছর প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা দিতে যাবার প্রাক্কালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল পিতা। পিতার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিল শিলা মমতাজ খাঁন । কৃষক বাবা গোলাম আম্বিয়া খাঁন ও মা আলতা বেগমের কন্যা শিলা আর সবার মত উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবার কথা থাকলেও ভাগ্যের বিড়ম্বনায় পিতার লাশ বাড়িতে রেখে তাকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হল। মেহেরপুর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরলে পিতা আম্বিায়া খানের লাশ দাফন করা হয়।
মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের গোলাম আম্বিয়া খাঁন-এর কন্যা শিলা মমতাজ খাঁন জানান, ভাগ্যের বিড়ম্বনায় আজ পরীক্ষার দিন পিতাকে হারালাম। বাবা বেঁচে থাকলে আমি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি বাবা শুনে খুব খুশি হতেন। কিন্তু পিতাকে মৃত রেখে পরীক্ষা দিতে যেতে হচ্ছে। পরীক্ষা হয়তো ভাল হবেনা। তবে তিনি সকলের দোয়া কামনা করেন। পরীক্ষা চলাকালিন পিতার শোকে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শিলা ।
শিলা মমতাজের ঝাউবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব জানান, কৃষক গোলাম আম্বিয়া খাঁন খুবই দরিদ্র মানুষ। এসএসসি পরীক্ষা দেবার সময় পরীক্ষার ফরম পূরণ করার মত টাকা পয়সা ছিলনা। কিন্তু মেয়ের লেখা পড়া করানোর প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। সে কারনে শিলা মমতাজের পরীক্ষার ফরম পূরণ বিদ্যালয় থেকে করে দেবার ব্যাবস্থা করা হয়। হঠাৎ তার পিতার মৃত্যুতে শিলা মমতাজের সাথে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সকলেই শোকাহত।