তিন দিন পর কুরবানির ঈদ। ঈদে স্বামীর কাছে পছন্দের ‘পাখি জামা’ কিনে দিতে বলায় গুলসান আরা (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তার স্বামী। মেহেরপুর শহরের ক্যাশবপাড়ায় রোববার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্বামী মাহিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গুলসান আরা গাংনী উপজেলার সহগলপুর গ্রামের বাবলু আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত মাহিরুল ইসলাম সদর উপজেলার রাইপুর গ্রামের মিয়াজান আলীর ছেলে।
নিহতের মেয়ে মায়া জানান, সকালে তার সৎ বাবা ঘরের মধ্যে তার সামনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে ও তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ডাক্তার গুলসান আরকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
মেহেরপুর সদর থানার এসআই সাইদুর রহমান জানান, মাহিরুল ইসলাম আট মাস আগে গুলসান আরাকে ২য় বিয়ে করেন। পরে শহরের ক্যাশবপাড়ায় ভাড়া বাসায় বাস করে আসছিলেন তারা। গত কয়েক দিন ধরে তার কাছে গুলসান আরা ঈদে পাখি জামা কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরেন। আজ সকালেও স্বামীর কাছে পাখি জামা নেওয়ার জন্য চাপাচাপি করলে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এ পর্যায়ে গুলসান আরাকে খাটের উপরে ফেলে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার পর নিহতের স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের কাছে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।