চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় আট বছরের এক কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে দামুড়হুদা মডেল থানায় জীবননগর উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের সুলতান শেখের (৩৫) নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা একজন ফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার সূত্র ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। সুলতান শেখ তাঁর কাছে পাওনা এক হাজার টাকা আদায়ের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের বাড়িতে যান। তখন ওই ছাত্রী ও তার মা বাড়িতে থাকলেও বাদী ছিলেন বাইরে। পাওনা টাকার জন্য চাপাচাপি করলে মা তাঁর শিশুকন্যাটিকে ঘরে রেখে পাশের বাড়িতে গিয়ে মুঠোফোনে স্বামীকে পাওনাদারের কথা জানান। ছাত্রীটির মা কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে এসে পাওনাদারকে না পেয়ে ঘরে ঢুকে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনাটি তিনি তখনই তাঁর স্বামী ও কয়েকজন প্রতিবেশীকে জানান।
দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জি এম ইমদাদুল হক বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে।