কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বাসীর সেই সৃষ্টি লগ্ন থেকেই কয়েকটি ভোগান্তি অত্র ইউনিয়ন বাসীকে দুর্বিষহ করে তুলে ছিলো। নদী ভাঙ্গন বা হরিপুর রক্ষা বাঁধ স্হাপন, হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু, পরিশেষে পল্লী বিদ্যুতের বন্দী দশা থেকে মুক্তি পাওয়া। অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে হরিপুরের চারপাশে হরিপুর রক্ষা বাঁধ হয়েছে। সেই আন্দোলনের অন্যতম কর্ণধার একজন মানবাধিকার ও গণমাধ্যম কর্মী, সৎ, নিষ্ঠাবান ও পরোপকারী শ্রদ্ধেয় হাসান ভাই। দীর্ঘদিন ধরে বহু আন্দোলন সংগ্রাম করে হরিপুরের দিনমজুর থেকে শুরু সকল শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে পদ্মা ও গড়াই নদীর উৎস মুখ থেকে হরিপুর রক্ষা বাঁধ আন্দোলন শুরু করেন। জনগণের বহু কাঙ্খিত দাবীটা জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আদায় করতে সক্ষম হয়। হরিপুর বাসীর দীর্ঘ ২২ বছরের সংগ্রাম আর আন্দোলনের ফসল শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু।
সর্বশেষ সকল দাবী আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আদায় হলেও পল্লী বিদ্যুতের এই বন্দী দশা থেকে পরিত্রানের উপায় পায়নি অত্র ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দারা। যার জন্য হাজার হাজার গ্রাহকদের জিম্মি করে নিজেদের ফায়দা লুটছে। গত ১৩ দিন আগে শুধুমাত্র মাইকিং করে বিদ্যুৎ বিঘ্ন ঘটায় আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এমন সান্তণার বাণী শুনিয়ে দায়মুক্তি নিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। কিন্তুু রুটিন করে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় থমকে গেছে জনজীবন। বাসা – বাড়ি থেকে শুরু করে দোকান সহ সমগ্র জায়গায় বিদ্যুৎ না থাকায় শীতকালীন লোডশেডিং জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে অত্র ইউনিয়ন বাসীর কয়েক হাজার বাসিন্দারা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে হরিপুরের কয়েক হাজার সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এসএসসি, এইচএসসি ও অর্নাস পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা। এবার আসুন আসল কথায়, পল্লী বিদ্যুতের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গত ২০১৫ সালে দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে শ্রদ্ধেয় হাসান ভাইয়ের একান্ত প্রচেষ্টায় এক সুধী সমাবেশে জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিত দাবী ছিলো পল্লী বিদ্যুৎকে গুড বাই
ওজোপাডিকো পিডিবি বিদ্যুৎ চাই।
আমরা অত্র ইউনিয়নের ভোগান্তি নিরসনে তদন্ত করে যতটুকু জানতে পেরেছি যে, আমাদের হরিপুরের বিদ্যুৎ সংযোগ কুমারখালী, কয়া, ঘোড়ারঘাট এলাকা অতিক্রম করে আসায় একদিকে যেমন বিদ্যুত লাইন প্রায় ২০থেকে ৩০ কিলোমিটার অতিক্রম করায় বিদ্যুৎতের বিশাল খরচ অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মরার উপর খাড়ার ঘা সৃষ্টি করেছে। অপরদিকে এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আসায় কোথাও কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলেই সেটা হরিপুর বাসী বলির পাঠা হওয়ার মতো উপক্রম হয়ে যায়। যার জন্যই ঝড়, বৃষ্টি ইত্যাদি যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেই ২থেকে ৩ দিন দেখা মেলে না বিদ্যুতের। বর্তমানে গত ১৩দিন বিদ্যুৎ না থাকায় প্রমাণিত হচ্ছে। কিন্তুু ১কিলোমিটারের কম দুরত্বে রয়েছে ওজোপাডিকো পিডিবি বিদ্যুৎ সংযোগ। এতোদিন ব্রীজ না থাকার দোহাই দিয়ে এই বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে হরিপুর বাসীর কয়েক হাজার জনগণকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো। বিগত দিন বিভিন্ন মহলে বিষয়টা আলোচিত হলেও শেষ হয়নি এই পল্লী বিদ্যুতের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়া। আসন্ন গ্রীষ্মকাল সামনে রেখে প্রচন্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠবে হরিপুর বাসী থমকে যাবে জনজীবন। বিগত দিনে যতগুলো দাবী ছিলো সেটা শুধুমাত্র আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। তাই আমাদের হরিপুরের দিনমজুর থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের সাথে নিয়ে ধর্ম, বর্ণ, দল, বল, মত নির্বিশেষে সকলে একসাথে সোচ্চার হয়ে পল্লী বিদ্যুৎকে গুড বাই! ওজোপাডিকো পিডিবি বিদ্যুৎ চাই। এই আন্দোলন কে আরো বেগবান করতে হবে তবেই হরিপুরের হাজার হাজার বাসিন্দা পল্লী বিদ্যুতের জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাবে। আর এই ক্ষেত্রে হরিপুরের সকল যুবক সমাজের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
হরিপুর বাসী