পদ্মা সেতুর নির্মাণে মাথা দরকার এই গুজবে কুমারখালীর হোগলা দরবেশপুরের স্কুল শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রধান শিক্ষক দ্বারস্থ হচ্ছেন অভিভাকদ্র নিকটে।
উপজেলার হোগলা দরবেশপুর বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী ৮০ জন। গত ১ সপ্তাহ হলো স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি একেবারেই কম। অনুপস্থিত লিস্টসহ একজন শিক্ষককে নিয়ে এলাকায় অভিভাবকদের বাড়িতে বেরিয়ে পড়লেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোস্তফা শাহিন মাসুম। ৯/১০ টি বাড়ি হোম ভিজিট করলেন।প্রায় সবার মুখে একই কথা পদ্মা ব্রিজের জন্য ছোট ছেলে মেয়ের মাথা কেটে নিচ্ছে। তাই ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে যাচ্ছে না।
নিজের অভিজ্ঞতা অভিভাবক ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা করতে এভাবে বললেন বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক, আমার ২৫ বছরের শিক্ষকতায় দেখলাম প্রতি বছর এই মৌসুমে( গরম পড়লে) এ রকম গুজব রটে। আমি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বললাম ব্রীজ, দালান তৈরিতে ইট, বালি, সিমেন্ট, পাথর,রড লাগে। কখনও কি শুনেছেন , মাথা দিয়ে ঢালাই করলে বেশি মজবুত হয়? গুজবে কান দিতে নিষেধ করলাম । ছাত্র ছাত্রীদেরকে আগামিকাল থেকে স্কুলে পাঠাতে বললাম।
প্রধান শিক্ষক বললেন আগামীকাল থেকে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর জন্য তারা লিখিতভাবে দিয়েছে। একজন শিক্ষকের মহানুভবতায় ফিরে আসতে পারে বিদ্যালয় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তারে উদাত্ত দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ১২১ হোগলা দরবেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মস্তফা শাহিন মাসুম। যদিও সরকারের নির্দেশনায় প্রতিটা শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে হোম ভিজিটের মাধ্যমে তাদেরকে খোঁজখবর নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে শিক্ষকদের। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয় সেটাকে নিজের দায়িত্ব মনে করে এবং দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে প্রধান শিক্ষকের এরকম মহানুভবতায় এলাকাবাসী, অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ উচ্ছ্বসিত।