নড়াইল জেলার কলেজগুলোতে এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলফলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সারা জেলায় এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৮ জন। এছাড়া কলেজগুলোতে পাশের হারও অনেক কম। জানা গেছে, এ বছর নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৪ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২৯ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ২ জন।
এছাড়া জেলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ পেয়েছে মাত্র ১৪ জন। এর মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার বল্লারটোপ আইডিয়াল কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ জন ও মানবিকে ১ জন, গোবরা মিত্র কলেজে মানবিকে ২ জন, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজে মানবিকে ২ জন, লোহাগড়া উপজেলার নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩ জন, লক্ষীপাশা মহিলা কলেজে মানবিকে ১ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১ জন, লোহাগড়ার লাহুড়িয়া এস.এম.এ আহাদ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ জন, কালিয়া উপজেলার কালিয়া শহীদ আব্দুস ছালাম ডিগ্রি কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে ১ জন ও বড়দিয়া মুন্সি মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এদিকে নড়াইল সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজ, লোহাগড়া সরকারী আদর্শ কলেজ, এমপিওভূক্ত নড়াইল আব্দুল হাই ডিগ্রী কলেজ, মাইজপাড়া ডিগ্রী কলেজ, তুলারামপুর আশার আলো মহাবিদ্যালয়, ইতনা স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পিরোলী বীরপ্রতীক হাবিবুল আলম মহাবিদ্যালয় এবং ননএমপিওভূক্ত হবখালী আদর্শ মহাবিদ্যালয়, আমাদা আদর্শ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মহাবিদ্যালয়সহ কয়েকটি কলেজ থেকে জিপিএ ৫ কেউ পায়নি এবং ফলাফলও সন্তোষজনক নয়।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে এবছর ৮৯৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৫১৬ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এ কলেজে পাশের হার ৫৮%। ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি প্রতিবছরই ভাল ফলাফল করে আসছে।
লোহাগড়া উপজেলার সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ লোহাগড়া সরকারী আদর্শ মহাবিদ্যালয়। এই কলেজ হতে এবছর ৭০৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এই কলেজ থেকে কেউ জিপিএ ৫ পায়নি। পাশের হার ৩৯.২৩%। লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের পরীক্ষার্থী ছিল ২৮৩ জন। এই কলেজে পাশের হার ২৬.১৪%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২জন পরীক্ষার্থী। ইতনা স্কুল এন্ড কলেজের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭৭ জন। পাশের হার ২৭.১১%।