ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও রিভারাইন পিপল আয়োজনে নদী রক্ষায় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্জ ড. শাহিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সার্বক্ষনিক সদস্য আলাউদ্দিন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার ড. সেলিম তোহা, কু্ষ্টিয়া পৌর মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার আলী, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ও রিভারাইন পিপল সদস্য সচিব আলতাফ হোসেন রাসেল প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে গেছেন, হাজার বছর চেষ্টা করলেও তার মত নেতা হওয়া যাবে না। দেশের প্রতিটি কাজে বঙ্গবন্ধু ভুমিকা রাখতেন, তিনি যে আদর্শবান পথ দেখিয়েছেন সে আদর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে। নদী রক্ষার্থে সকল ভুমিকা পালন করতে হবে, নদী, খাল, বিল কোন কিছু জোর করে দখল করা যাবে না, মৃত নদীকে পুনুরুদ্ধার করতে হবে, নদী রক্ষায় কোন প্রভাবশালী বাধা প্রদান করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে সরকার। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি আসে, অন্য মৌসুমে যে নদী গুলোতে পানি থাকে না সে গুলো খনন করে নদীর জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে, কিছু নদী খনন হচ্ছ, যে নদী গুলো বিসৃভাবে কাজ হচ্ছে সে গুলোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রতিটি নদী তার জীবন ফিরে পাবে এই প্রত্যাশা নিয়ে সরকার কাজ করছে। এলাকায় কোন সমস্যা থাকলে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে জানানোর আহব্বান করেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের যুব সমাজের সহযোগীতা পেলে সরকার তার লক্ষ্য পৌছাতে পারবে, কোন নদী দখল করে আছে প্রভাবশালীরা এমন তথ্য নিকটস্থ জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে, যারা নদী দখল করে আছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে, নদীর পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব, বর্তমান সরকার দেশের সকল সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। নদীতে বর্ষা মৌসুমে যে পানি হয়, সে পানি ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে, নদীতে পানি থাকলে মৎসর অভাব হবে না, সকলের সহযোগীতায় নদী রক্ষায় ভুমিকা রাখতে হবে। ঘরে বসে কোন প্লান করলে হবে না, এলাকার প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে যেয়ে তাদের সহযোগীতা নিতে হবে, যারা নদীকে দু ভাগে ভাগ করে দিচ্ছে সেই কাজ করলে হবে না, নদী রক্ষায় দুর্নীতি করছে, যারা নদীকে লিস দিচ্ছে, জেলা প্রশাসকেরা ভুমিকা গ্রহন না করলে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ভুমিকা রাখবে সরকার, সরকার প্রতিটি নদীর জীবন ফিরিয়ে দিতে চায়।