কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের জেএমজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে মোবাইল ফোনে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এর ছবি তুলে তা বাইরে ফাঁসের অভিযোগে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে প্রশ্ন ফাঁসে সহযোগিতা করার দায়ে ফারজিনা আক্তার নামের পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার ইংরেজী প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার জেএমজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর নাম ফারজিনা আক্তার সে বিলগাতুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী এস.এস.সি পরিক্ষায় যার রোল নং ২৮৪১৮৩।
পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বেলা ১১টার দিকে জেএমজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র জয়পুর জে.এম.জি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সোমবার ইংরেজী প্রথম পত্র পরিক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পরে ফারজিনা খাতুর তার প্রশ্ন পত্র জানালার বাহিরে থাকা আতিয়ার রহমান পিতা মৃত মাদার আলী ও রাব্বি পিতা পার্বত আলীকে প্রশ্ন পত্র মোবাইলে ছবিতোলার প্রস্তুতিকালে আমি আতিয়ার রহমান সাবেক এক ইউপি সদস্য আটক করতে সক্ষম হলেও পালিয়ে যায় রাব্বি ।
তিনি আরও জানান, পরিক্ষা শুরুর কিছুক্ষন পর আমি কেন্দ্রের অনেক আগেই গাড়ি রেখে পায়ে হেটে কেন্দ্রের পিছনে গিয়ে দেখি আতিয়ার রহমান পিতা মৃত মাদার আলী জানালার সাথে দাড়িয়ে ও রাব্বি পিতা পার্বত আলী আমার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে প্রশ্ন ফাঁসের কাহিনি। আতিয়ার রহমান সাবেক এক ইউপি সদস্য ।
এ সময় তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রশ্ন ফাঁসে সহযোগিতা করার অভিযোগে ফারজিনা আক্তার নামে ঐ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।