কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ, কা, মা সরওয়ার জাহান বাদশা বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে পানিবন্দী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে সবধরণের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, বন্যায় যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের দ্রুত তালিকা করে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। কাল থেকে বন্যা কবলিত চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর এলাকায় শুকনো খাবার সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বন্যার্তদের উদ্দেশ্য বলেন, বর্তমান সরকার বন্যার্তদের পাশে আছে। আশা করছি দু’এক দিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে। পানি কমতে থাকলে এখানে মেডিকেল টিম পাঠানো হবে।
শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বন্যাকবলিত রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন, কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. সরওয়ার জাহান বাদশা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন।
এসময় তাদের সাথে ছিলেন, দৌলতপুর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজগর আলী, দৌলতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা উপকমিটির অন্যতম সদস্য ড. মোফাজ্জেল হক, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শরিফ উদ্দীন রিমন, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ মন্ডল ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
পরদির্শনকালে তৎক্ষনাৎ রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের বন্যাদূর্গত ২০০ পরিবারের মাঝে ১০কেজি করে চাল বিতরণ করেন। ত্রান বিতরণকালে এমপি সরওয়ার জাহান বাদশা ও জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বন্যাকবলিতদের তালিকা করে দ্রুত তাদের মাঝে আরও ত্রান বিতরণের প্রতিশ্র“তি দেন।
এদিকে দৌলতপুরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির গতি কমতে শুরু করেছে। তবে পানিবন্দী মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৭গ্রামের ১০হাজারেরও বেশী পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ৩ হাজারেরও বেশী পরিবারের বাড়ি-ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে তারা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছেন।
উজানের নেমে আসা পানিতে আকষ্মিক বন্যায় চরাঞ্চলের প্রায় ১৫’শ হেক্টর জমির মাসকলাইসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। দেরীতে বন্যা হওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। সেই সাথে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যাকবলিত অসহায় মানুষ।