কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ঘাট ডাকা বা ইজারা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানাগেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত এলাকায় পদ্মা নদীর ধারে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর পরই দু’টি মটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভাগজোত এলাকার কাবিল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জন্য ভাগজোত খেয়াঘাট জেলা পরিষদ থেকে ডেকে ইজারা নেয়। ১লা জুলাই থেকে তা কার্যবর ও ঘাটের অর্থ আদায় করার কথা। সে অনুযায়ী কাবিল হোসেনের লোকজন গতকাল সকালে ভাগজোত খেয়া ঘাটে গিয়ে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরী করতে থাকে। এসময় গত অর্থ বছরের (২০১৭-১৮) ডাকে পাওয়া ঘাটের মালিক বুলেটের নেতৃত্বে মইদুল, সালাম ও মিলনসহ ৫-৭জন সশস্ত্র অবস্থায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হাইকোর্টে রিট করা আছে বলে কাবিল হোসেনের লোকজনকে ঘাটে মাচা তৈরীতে বাঁধা দেয়।
তবে তারা কোর্টের বা আদালতের কাগজপত্র দেখাতে না পারলে বাঁধা উপেক্ষা করে কাবিল হোসেনের লোকজন মাচা তৈরী করতে থাকে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে বুলেটের কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে প্রতিপক্ষ বাবু’র মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে কাবিল হোসেনের লোকজন বুলেটকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। দু’পক্ষের আহত ভাগজোত এলাকার মতি দফাদারের ছেলে বুলেট (৩৫) এবং মৃত ইছাহক মাষ্টারের ছেলে বাবু (৪০) কে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। বুলেটের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
সংঘর্ষের বিষয়ে রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, জেলা পরিষদ থেকে ভাগজোত ঘাট ডাকে পেয়ে কাল থেকে (আজ রোববার) অর্থ আদায়ের জন্য সেখানে মাচা তৈরী করতে গেলে গতবছরের ডাকে পাওয়া বুলেট হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে বলে তাদের কাজে বাঁধা দেয় এবং বাবুকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজন বুলেটকেও পিটিয়ে আহত করে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এঘটনায় উভয়পক্ষ দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছে। সংঘর্ষের পর পরই ঘটনাস্থলে রাখা দু’টি মটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়ানো হয়েছে।