কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বাগুয়ান ডঃ ফজলুল হক গালর্স কলেজের ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, এক অপরাধীর ভ্রাম্যমান আদালত ৬ মাসের কারাদন্ড করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার সকাল অনুমানিক ৮:৩০ মিনিটের সময় কলেজ ছাত্রী এলাকার গুড়ার পাড়া এলাকায় মাঠের মধ্যে এসে পৌঁছালে, আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রাগপুর ইউনিয়নের বাঁধের বাজার মুসলিম নগর এলাকার মৃত রফিকুলের ছেলে বকুল (২৫), একই এলাকার সলেমানের ছেলে মনিরুল (৩০), শরিফুল বিশ্বাসের ছেলে শাকিল (৩০), আব্দুল্লাহ বিশ্বাসের ছেলে তহিদুল ইসলাম (২৬), মাদাপুর গ্রামের হেনটুর ছেলে হিরজ(২৫) ও মহিষকুন্ডি পূর্ব পাড়ার ভুট্টোর ছেলে সোহেল রানা কলেজ ছাত্রীকে অটো থেকে জোর করে তাদের ভাড়া করা অটোরিকসায় তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে প্রাগপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল জানান, সকাল ৯ টার সময় বিলগাথুয়া এলাকায় থেকে আমার কাছে ফোন আসে কয়েকজন ছেলে একটি মেয়েকে বিলগাথুয়া গ্রামের আরজেদের ছেলে সেন্টুর বাড়ীতে নিয়ে এসেছে, মেয়েটা কান্না কাঁটি করছে সাথে সাথে আমি গ্রাম পুলিশকে ঘটনা স্থানে পাঠায়। আমি নিজে গিয়ে সেন্টুর বাড়ী থেকে মেয়েটাকে উদ্ধার করি, সে পূর্ব মহিষকুন্ডি মনিরুলের মেয়ে ফাতেমা আক্তার এ্যনী (১৬)। আমাকে যেতে দেখে অপহরণ কারীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি নিজে দৌঁড়ে বকুল ওরফে মাস্তানকে ধরে ফেলি, এ সময় সেন্টুর বাড়ীর কাউকে পাওয়া যায় নি।
কলেজ ছাত্রী জানায় আমি কলেজের উদেশ্যে আসার সময় আমাকে জোর করে বকুল তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে বিলগাথুয়া গ্রামে একটি বাড়ীতে নিয়ে যায়। আমি বাঁচার জন্য চিৎকার করলে গ্রাম বাসী ও চেয়ারম্যান আমাকে উদ্ধার করে। পরে বকুলকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসলে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বকুল কে ৫০৯ ধারায় ৬ মাসের কারাদন্ড দেন।
এ বিষয়ে ডঃ ফজলুল হক গালস কলেজের অধ্যাক্ষ জানান সকাল ৯ টার সময় আমাকে আমার কলেজের কিছু ছাত্রী জানায় মহিষকুন্ডি হতে কলেজ আসার পথে গুড়ারপাড়া এলাকাতে পৌঁছালে বকুল, শাকিল, তহিদুল, হিরজ, সোহেল জোর করে একজন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছে, এমত অবস্থাতে আমি আইনি সাহায্যের জন্য দৌলতপুর থানাতে একাধিক বার ফোন করি, ফোন রিছিট না হওয়াতে স্থানীয় ক্যাম্প মথুরাপুর একাধিক বার ফোন করলেও তারা ফোন রিছিট করেন না, আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি।
এ অবস্থাতে ৯৯০ নম্বরে ফোন করে আমরা আইনি সাহায্যে চাইলে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তিনি আর জানান মাত্র ১ জন ধরা পড়েছে বাঁকীদেরও আইন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশা করি। এ বিষয়ে তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস আই সোহেল জানান, যাদের নাম এসেছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।