কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদক্তা মির মজিবুর রহমান (তপন) কে মারধর করে কম্পিউটার সহ মালামাল লুট করে নিয়েগেছে একই পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক হোসেন।
এ বিষয়ে প্রতাক্ষদর্শী ইনদাদুল শেখ জানান ,আমি আমার কাজের জন্য পরিষদে আসেছি ঘটনার সময় আমি তপন সাহেবের কাছে বসা ছিলাম, হঠাৎ মানিক মেম্বার এসে তাকে মারধর করে এবং জিনিশ পত্র ভাংচুর করে কম্পিউটার সহ কিছু মাল নিয়ে যাই। তার সাথে থাকা আর দুই জনের হাতে হাসুয়া ও চাপাতি ছিল।
ইউনিয়ন পরিষদে কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশ আলতাব হোসেন জানান অামি উপস্থিত থাকার পরেও মানিক মেম্বার হঠাৎ আক্রমন চালাই এবং কম্পিউটার ,পিন্টার ,সহ আর মালামাল ভাঙ্গচুর ও লুট করে নিয়ে যাই।তার সাথে থাকা লক্ষিখোলা গ্রামের মৃত্ শান্তি ফকিরের ছেলে সাহাবুল সহ আর দুই জন হাসুয়া ও চাপাতি সহ ছুটে আসে আমরা গ্রাম পুলিশরা প্রতিহত করলে তারা চলে যাই। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বজলুল হক জানান ৮ নং ওর্য়াডের মেম্বার মানিক পরিষদে এসে টাকার হিসাব চেয়ে আক্রমন করে কম্পিউটার লুট ও ভাঙ্গচুর করেন। এলাকাবাসী জানান মানিক মেম্বার আজ নতুন না প্রায় সময় এই ধরনের কাজ করে থেকে ।তা ছাড়া তিনি মেয়ে ঘটিত কারনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুক হয়েছেন বলে জানান, তারা আরো বলেন আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। এ বিষয়ে সাংবাদিকদেরা মানিক মেম্বার এর সাথে মুঠফোনে যোগাযগ করলে তিনি জানান আমি এমন কিছু করি নাই আমার কোন বক্তব্য নাই ।
এ বিষয়ে উক্ত রিফাতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম (বাবু) জানান মানিক মেম্বার বার বার একই ধরনের কাজ করছে মানিক বিভিন্ন সময় অনৈতিক দাবি করেন তা পুরন করতে না পারলে খারাপ ব্যবহার করেন । তিনি আর বলেন সবার চেয়ে তাকে বেশী সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলেও তিনি আর বেশি চাই।তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা শুধু চেয়ারম্যান না রাজনৈতিক কর্মি ও তাই আমার সব মেম্বার কে ডাকা হয়েছে তারা আসলে বসে সিদ্ধান্ত নিব কি করা যায় ।তবে সরকারী মালামাল লুট হয়েছে অবশ্যই আইন আনুক ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুর রহমান জানান আমি ঘটনা টি শোনার সাথে সাথে চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম (বাবু) কে আইন আনুক ব্যবস্থা নিতে বলেছি।