সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক গড়বিল করার নামে গ্রাহকের ঘাড়ে বাড়তি টাকার চাপ
করোনা ভাইরাস আক্রান্তের আশংকায় পল্লী বিদ্যুৎ মিটার রিডিং কর্মিরা মাঠ পর্যায়ে প্রকৃত রিডিং সংগ্রহ না করে গড়বিল করার কারণে বিদ্যুৎ গ্রাহকগণদের পরিশোধ করতে হবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল।
গত ৫ ফেব্র“য়ারী থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত যে বিদ্যুৎ মিটার এর ব্যবহারিত বিদ্যুৎ বিল ছিল ২৪৫ ইউনিট সেই মিটারটি ৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত গড় ব্যবহারিত বিদ্যুৎ ধার্য্য করা হয়েছে ৪০৪ ইউনিট। যা কিনা এই মিটারটির এ যাবৎ ব্যবহারিত সর্বোচ্চ ইউনিট থেকেও অনেক বেশি। ফলে বিল নির্ধারণ ধাপ অনুযায়ী পঞ্চম ধাপে প্রতি ইউনিট ৯ টাকা ৯৪ পয়সা হিসেবে ৩ টাকা ৯৪ পয়সা বাড়তি এবং বাড়তি ভ্যাট গ্রাহকের ঘাড়ে চেপে বসেছে।
সমিকরণটি নিম্মরূপ: প্রকৃত ব্যবহারিত ইউনিট ২৪৫ এর বিল আসে ৩য় ধাপ পর্যন্ত।
১ম ধাপ= ৭৫*৪.১৯ টাকা
২য় ধাপ= ১২৫*৫.৭২ টাকা
৩য় ধাপ=৪৫*৬ টাকা
২৪৫ ইউনিট এর বিল ১৩২৯ টাকা ও ভ্যাট ৬৭ টাকা। গড়বিল ৪০৪ ইউনিট ধার্য্য করার ফলে বিল আসে ৫ম ধাপ পর্যন্ত।
১ম ধাপ= ৭৫*৪.১৯ টাকা
২য় ধাপ= ১২৫*৫.৭২ টাকা
৩য় ধাপ= ১০০*৬ টাকা
৪র্থ ধাপ= ১০০*৬.৩৪ টাকা
৫ম ধাপ= ৪*৯.৯৪ টাকা
মোট ইউনিট ৪০৪ এর বিল আসে ২৩৩৩ টাকা সাথে ১১৭ টাকা ভ্যাট।
গ্রাহকের প্রকৃত ব্যবহার ২৪৫ ইউনিট এর স্থলে গড় ৩০০ ইউনিট ধার্য্য করা হলেও ৬ টাকার বেশি বিল গ্রাহকের কাধে চাপতো না। বিবেকহীন ভাবে ৪০৪ ইউনিট ধার্য্য করায় ৪র্থ ধাপের ৬.৩৪ টাকা ও ৫ম ধাপের ৯.৯৪ পয়সা হারে অতিরিক্ত টাকা সেই সাথে অতিরিক্ত ভ্যাট অনৈতিক ভাবে গ্রাহকের উপরে চাপানো ও আদায়ের চেষ্টা করছে পল্লী বিদ্যুৎ।
দেশের এই দুযোর্গময় পরিস্থিতিতে জনগণ তথা বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতি সদয় হওয়ার পরিবর্তে সরকারী নির্দেশনার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রচেষ্টা পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের নিকট কাম্য নয়।
বিষয়টি সুষ্ঠু বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ঠ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।